মাগুরায় মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনার ২ নম্বর আসামি মো. আলী বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামির কোনো জামিন আবেদন না থাকায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামি মো. আলীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।এর আগে বুধবার মধ্যরাতে মাগুরা পুলিশ সুপারের অফিসে সাংবাদিকদের সামনে আসামি মো. আলীকে হাজির করে তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করা হয়। এসময় প্রেসব্রিফিং করেন মাগুরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম। সম্মেলনে জানানো হয় যে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরা জজ আদালতের পার্শ্ববর্তী মহিলা কলেজ সড়ক থেকে আসামি মো. আলীকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে।উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই বিকেলে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়া এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গর্ভের শিশুসহ মা নাজমা বেগম পেটে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় গুলিতে আওয়ামী লীগ কর্মী মোমিন ভূইঁয়া নিহত হন। মোমিন ভূইঁয়ার ছেলে জুয়েল এ ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে নাজমা বেগমের তল পেটে গুলিবিদ্ধ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এজাহার নামীয় ১৬ আসামির মধ্যে ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে আসামি আজিবর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।পেটে গুলিবিদ্ধ নাজমা ও গর্ভের শিশুকে ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ করে তোলা হয়। এ ঘটনা সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড
Advertisement