খেলাধুলা

ওপেনিংয়ে সাদমানের সঙ্গে ইমরুলেই আস্থা নির্বাচকদের!

বাংলাদেশ কেমন করবে? আফগানদের সাথে টাইগারদের একমাত্র টেস্টের ফল কি হবে? এসব নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা নেই কারো। তবে টেস্ট শুরুর সময় যত ঘনিয়ে আসছে, দুটি কৌতুহলি প্রশ্ন ততই জোরালো হচ্ছে।

Advertisement

১. তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে সাদমান ইসলামের সাথে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবেন কে?২. টাইগাররা রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি ও জহির খানের গড়া আফগানদের স্পিন আক্রমণ সামলাবে কিভাবে?

প্রথম প্রশ্নর উত্তর জানা নির্বাচকদের। তারাই ঠিক করবেন সাদমান ইসলামের সঙ্গী কে হবেন? এবং সম্ভবত আগামীকাল সন্ধ্যা নাগাদ জানা হয়ে যাবে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে থাকবেন কোন ১৫ ক্রিকেটার।

আজ মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে টেস্ট স্কোয়াড প্রসঙ্গ উঠলে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু পরিষ্কার করে কিছু বলতে অপারতা প্রকাশ করেন। শুধু বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই বসে দল চূড়ান্ত করে ফেলবো।’

Advertisement

তবে দলের সম্ভাব্য রুপরখো কেমন হবে? কোন নতুন মুখ থাকবে কি না? এসব ব্যাপারে শতভাগ গোপনীয়তা অবলম্বন করেন সতর্ক-সাবধানি নান্নু।

জানিয়েছেন, শান্তসহ এইচপির তরুণদের পারফরমমেন্সও তারা দেখেছেন। বলে রাখা ভাল লঙ্কান ইমার্জিং দলের সাথে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের চার দিনের ম্যাচ দেখতে খুলনা গিয়েছিলেন আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।

কারো সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘এইচপিতে কয়েকজন খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। শান্তও বেশ ভালো খেলেছে। তো এটা আমাদের মাথায় আছে। এটা নিয়ে আমরা বসছি। কোচের সাথে, টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে, কেমন টিম চাই এটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এখন আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করছি। কালকে ফাইনাল করব।’

প্রধান নির্বাচক মুখে এমন কথা বললেও ভিতরের খবর, সাইফ হাসান বা নাজমুল হোসেন শান্ত‘র মত কোন তরুণকে টেস্ট দলে নেয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

Advertisement

একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচকরা নতুন কাউকে না নিয়ে সম্ভবত পুরনোদের মধ্যেই কাউকে বেছে নিতে চান। তাদের পছন্দে আছেন দুই অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ইমরুল কায়েস এবং জহুরুল ইসলাম অমি।

প্রথমে শোনা যাচ্ছিলো জহুরুলের দিকে চোখ স্থির নির্বাচকদের। এখন শেষ মুহূর্তে এসে শোনা গেল নতুন সুর। আজ পড়ন্ত বিকেলে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনের কথা-বার্তা শুনে মনে হলো তারা সাদমানের সঙ্গী হিসেবে জহুরুল, সাইফ কিংবা শান্ত নয়, ইমরুল কায়েসকেই দলে নিতে বেশি আগ্রহী। ইমরুলের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং দেশের মাটিতে টেস্টে ভাল রেকর্ড বিবেচনায় এনে তাকে দলে নেয়ার কথাই ভাবা হচ্ছে বেশি।

আসুন ছোট্র একটি পরিসংখ্যান দেখে নেই। তাতেই পরিষ্কার হবে ইমরুল কায়েস দেশের মাটিতে টেস্টে কতটা ভাল। এমনিতে ৩৭ টেস্টে তার সংগ্রহ ১৭৭৬ রান। আর দেশে ২৪ টেস্টে ১২১৫ রান। সর্বোচ্চ ১৫০। গড় ২৭.০০। শতরান তিনটি। হাফ সেঞ্চুরি তিনটি।

সেখানে দেশের বাইরে ১৩ টেস্টে রান ৫৬১। একটি সেঞ্চুরিও নেই। হাফ সেঞ্চুরি মোটে একটি। তার মানে দেশেই স্বচ্ছন্দ ইমরুলের ব্যাট। কাজেই এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে দেশের মাটিতে আফগানদের সাথে খেলানোর চিন্তা একদম অযৌক্তিক নয়। সেখানে জহুরুলের ট্র্যাক রেকর্ড এত সমৃদ্ধ নয়। আর তিনি ছয় বছর জাতীয় দলেও খেলেন না। কাজেই পুরনোদের মধ্য থেকে কাউকে বেছে নিলে, ইমরুলের ওপরই আস্থা বাড়ছে নির্বাচকদের।

এআরবি/আইএইচএস/পিআর