আন্তর্জাতিক

কোন পথে যাচ্ছে ব্রিটেন?

ব্রেক্সিটের আগে পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবি রাখার ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন পার্লামেন্টের এমপি এবং চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিরোধিতাকারীরা।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানোর পর তাতে সম্মতি দিয়েছেন রানি এলিজাবেথ

শুধুমাত্র পার্লামেন্টের ভেতরেই নয় বরং এ নিয়ে দেশজুড়েই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আদালতের মাধ্যমে বৈধভাবে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এক পিটিশনে ১০ লাখের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে পাঁচ সপ্তাহের পার্লামেন্ট মুলতবির পরেও ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কের জন্য সময় পাওয়া যাবে। অপরদিকে হাউস অব কমন্সের নেতা জ্যাকব রেস মগ প্রধানমন্ত্রী জনসনের বিরোধীদের 'ভুয়া' বলে উল্লেখ করে বলেছেন যে, তারা ইউরোপের অধীনেই থাকতে চায়।

Advertisement

এর আগেও দু'দফা ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মুলতবি করা হয়েছিল। একবার চারদিন এবং অন্যবার ১৩ দিনের জন্য পার্লামেন্ট মুলতবি করা হয়। তবে এবার পার্লামেন্ট ২৩ কার্যদিবসের জন্য মুলতবি থাকতে পারে। এর আগে বেক্সিট কার্যকরে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যকে সময় দিতে রাজি হন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্রেক্সিটের ওপর ভোট দেন ব্রিটিশ এমপিরা। সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেন ৪৯৮ জন এমপি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ১১৪টি। তারপর থেকেই ইইউ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার দিন গুনতে থাকে ব্রিটেন। ব্রেক্সিটের জন্য ব্রিটেনের হাতে আর দু'মাসের মতো সময় আছে।

এদিকে, পার্লামেন্ট মুলতবি করার বিষয়ে বরিস জনসনের সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রের ওপর ধাক্কা’ বলে বর্ণনা করেছেন বিরোধী লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন। পার্লামেন্টে আইন পাস করতে এমপিরা যেন যথেষ্ট সময় না পান সে জন্য চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের দিকে তাদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

একই সঙ্গে তিনি পার্লামেন্ট মুলতবির আদেশ বন্ধ করা চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছিলেন যে, তিনি আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে চুক্তি সহকারেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে চান। কিন্তু পার্লামেন্ট মুলতবি করার বিষয়ে জনসনের আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের পথে হাঁটছে ব্রিটেন।

Advertisement

টিটিএন/এমকেএইচ