ধর্ম

ফিলিস্তিনে যুদ্ধ করছে ইউরোপ-আমেরিকার ৭ হাজার ইয়াহুদি!

ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর ইসরাইলি আগ্রাসন বিরামহীনভাবে চলে আসছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অবৈধ আক্রমণে অংশ নিচ্ছে দেশটির ইয়াহুদি জনগোষ্ঠী। এ ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের ইয়াহুদি পরিবারের ৭ হাজার তরুণ ছেলে-মেয়ে স্বেচ্ছাসেবি হয়ে যুদ্ধ করছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

ইসরাইল রাষ্ট্র ও নাগরিকদের সুরক্ষায় দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এসব ছেলে-মেয়ে (আইডিএফ) স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত।

মুসলিম বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসা ইউরোপ-আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের এ সব তরুণ ছেলে-মেয়েদের বেতন-ভাতা ইসরাইলের নিয়মিত সেনা সদস্যদের চেয়ে দ্বিগুণ।

ইসরাইলে এদের কারোরই কোনো পরিবার নেই। এ কারণে এদেরকে নিঃসঙ্গ সেনা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এদের থাকার জন্য ‘লোন সোলজার সেন্টার’ নামে আধুনিক ও উন্নত আবাসিক ব্যবস্থা রেখেছে ইসরাইল।

Advertisement

ইসরাইল এসব সেনাদেরকে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতে সম্মুখ যুদ্ধে ব্যবহার করে। সম্মুখ যুদ্ধের এসব তরুণ সেনা সদস্যদের বিশেষ ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা রেখেছে ইসরাইল।

ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলিমদের উপর আক্রমণ ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন দেশ থেকে বয়সে তরুণদের যুদ্ধের জন্য নিয়ে আসছে ইসরাইল।

ইউরোপিয়ান আর মার্কিনিদের ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে কাজ করা নতুন কোনো ঘটনা নয়। ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ার আগেও ইয়াহুদিবাদী আন্দোলনে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে আসা হতো। যাদেরকে ‘মাহাল’ প্রক্রিয়া বলা হতো।

সম্প্রতি প্রায় ৩০০ তরুণ সেনা ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছে। তাদের আগমনে বিশাল জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইসরাইল। অনুষ্ঠানে এসব সেনাদের ‘সত্যিকারের বীর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

Advertisement

তরুণ যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট। তারা বলেন, ‘তোমরাই সত্যিকারের জায়োনিস্ট তথা ইয়াহুদি। তোমাদের জন্য আমাদের ভালোবাসা অবিরাম।

অন্যদিকে চরম আফসোসের বিষয় হলো- নিরীহ ফিলিস্তিনিরা মার খাচ্ছে। মসজিদে আকসাসহ নিজেদের স্থানীয় মসজিদগুলো ইবাদতও করতে পারছে না। নিজ নিজ অঞ্চলে ইয়াহুদি আগ্রাসন ও আক্রমণের ফলে নির্ভয়ে বসবাসও করতে পারছে না।

অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন মজলুম ফিলিস্তিনিরা। যাদের ব্যাপারে মুসলিম বিশ্বের উল্লেখযোগ্য কোনো দেশই মুখ খুলছে না। তাদের অধিকারের ব্যাপারে কোনো সভা-সমাবেশ কিংবা বিবৃতি দেয়া থাক দূরের কথা বরং ইসরাইল ইস্যুতে তারা থাকছে একেবারেই নিশ্চুপ।

এমএমএস/জেআইএম