বাংলাদেশের সংগীত জগতের জীবন্ত কিংবদন্তির নাম মোঃ খুরশীদ আলম। ষাটের দশক থেকে শিল্পী হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা তার। গুণী এই মানুষটি জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৪৬ সালে জয়পুরহাটে। মাত্র তিন বছর বয়সেই পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। সেই থেকে তার বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই।
Advertisement
চাচার কাছে গান শুনে গানের প্রতি প্রেম তৈরি হয় তার। শৈশবে স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন। আর চলচ্চিত্রে খুরশীদ আলমের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৯ সালের ১ আগস্ট। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘আগন্তুক’ চলচ্চিত্রে ‘বন্দী পাখির মতো’ শিরোনামের গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন।
এ গানের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন আজাদ রহমান। গানটির কথা লিখেছেন ডা. সাজেদুর রহমান। এই গান গাওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। খুরশীদ আলম এ পর্যন্ত কণ্ঠ দিয়েছেন প্রায় পাঁচ’শর বেশি গানে। তার বেশিরভাগ গানই চলচ্চিত্র কেন্দ্রিক। এ গুণীশিল্পীর প্লেব্যাকে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে এ মাসে।
তাকে নিয়ে চ্যানেল আই একটি বিশেষ অনুষ্ঠান ‘সাময়িকী’ নির্মাণ করেছে। অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবে ৩০ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে। এর গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করেছেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক আবদুর রহমান। এ অনুষ্ঠানে মোঃ খুরশীদ আলম তার সঙ্গীত জীবনের অনেক অজানা গল্প বলেছেন।
Advertisement
তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে আছে, ‘মাগো মা, ওগো মা, আমারে বানাইলি তুই দিওয়ানা’, ‘তোমরা যারা আজ আমাদের ভাবছো মানুষ কি না’, ‘বন্দি পাখির মতো মনটা কেদে মরে’, ‘ধীরে ধীরে চল ঘোড়া, সাথী বড় আনকোরা’, ‘ও দুটি নয়নে স্বপনে চয়নে নিজেরে যে ভুলে যাই’, ‘বাপের চোখের মণি নয়, মায়ের সোনার খনি নয়’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘যে সাগর দেখে তৃপ্ত দু চোখ’, ‘ঐ আঁকাবাঁকা নদীর ধারে’, ‘তোমার দু’হাত ধরে শপথ নিলাম’ প্রভৃতি।
এমএবি/এলএ/এমকেএইচ