জাতীয়

‘স্বপ্নের মেট্রোরেল একদিন সত্যিই চালু হবে’

মিরপুরের কাজিপাড়ার বাসিন্দা শিহাব খন্দকার। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রোদ, ঝড় আর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাসা থেকে যানজট ঠেলে মতিঝিলের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মস্থলে যান। মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শুরুর দিন থেকেই ভোগান্তির শুরু, এখন তা গা সহা হয়ে গেছে। চোখের সামনে মাটি খনন থেকে শুরু করে বিশাল আকারের পিলার নির্মাণ ও বর্তমানে কিছু অংশে মেট্রোরেল চলাচলের পিলারের ওপর স্থাপনা স্থাপনের কাজ হতে দেখছেন। নিয়মিত ভোগান্তি পোহালেও স্বপ্ন দেখেন স্বপ্নের মেট্রোরেল কোনো একদিন চালু হবে।

Advertisement

বুধবার (২৮ আগস্ট) এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে শিহাব খন্দকার বলেন, প্রতিদিন বাসে করে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে বিভিন্ন সাইনবোর্ডের লেখাগুলো দেখি। বিশেষ করে স্বপ্নের মেট্রোরেল আসছে, সাইনবোর্ডে লেখাটি দেখলে পুলকিত হই। কল্পনা করি একদিন ভোগান্তির অবসান হবে, বাড়ির কাছের স্টেশন থেকে দ্রুততম সময়ে মতিঝিলে কর্মস্থলে ছুটে যাবো।

শিহাব খন্দকারের মতো এমন স্বপ্নের দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার লাখ লাখ মানুষ।

মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য নগরীর বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে রাস্তাঘাটে প্রায়ই লেগে থাকে যানজট। রাস্তা সরু হওয়ায় স্বাভাবিক চলাচল মারাত্মক বিঘ্নিত হয়। তবুও মানুষ তা হাসিমুখেই মেনে নিচ্ছেন। উন্নত বিশ্বের মতো ব্যস্ততম এ শহরের মেট্রোরেল চালু হলে জন ও যান চলাচলে সুবিধা পাওয়া যাবে এ স্বপ্ন নিয়ে সব দুর্ভোগ মেনে নিচ্ছেন সবাই।

Advertisement

বুধবার মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায় মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। বিভিন্ন স্থানে মেট্রোরেল চালু হলে কী কী সুবিধা মিলবে তা সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে।

সাইনবোর্ডের বিভিন্ন লেখা যেমন- ‘স্বপ্নের মেট্রোরেল আসছে, বাঁচবে সময়, বাঁচবে পরিবেশ, যানজট কমাবে মেট্রোরেল’, ‘মহানগরীর যানজট নিরসনের সমাধান মেট্রোরেল’, ‘আজকে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করুন, কালকে আপনার জন্য সুফল বয়ে আনবে’, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সময়মতো যাওয়ার নিশ্চয়তা মেট্রোরেল’, ‘মেট্রোরেল সময় সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য গণপরিবহন’, ‘মেট্রোরেল গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাবে’, ‘ঢাকার পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে ও সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে মেট্রোরেল একটি অনন্য মাইলফলক’ ইত্যাদি আশা জাগানিয়া লেখা চোখে পড়ে।

রাস্তার পাশে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ একাধিক মানুষের সঙ্গে আলাপকালে সকলের মুখে অভিন্ন কথা, যে দিন ধরে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে সেদিন থেকে যাতায়াতে দুভোর্গর অন্ত নেই। তবে সান্তনা এতোটুকুই যে একদিন স্বপ্নের মেট্রোরেল সত্যি সত্যিই চালু হবে।

এমইউ/এএইচ/জেআইএম

Advertisement