কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেয়ার পর থেকেই সেখানে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এবার জম্মুর বেশ কিছু এলাকায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার জম্মুর দোদা, কিস্তওয়ার, রম্বন, রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় মোবাইল পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ধীরে ধীরে রাস্তায় বাড়ছে গাড়ি, বাড়ছে অফিসে হাজিরাও।
গভর্নর সত্যপাল সিং জানিয়েছেন, কাশ্মীরে ১১১টি পুলিশ স্টেশনের ৮১টিতে দিনের বেলায় নিরাপত্তা কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এদিকে কাশ্মীরে সফর করতে যাচ্ছেন সিপিএম সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বৃহস্পতিবার সকালেই ইয়েচুরি দিল্লি থেকে শ্রীনগর বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
বুধবারই কাশ্মীরে গ্রেফতার হওয়া সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে সীতারাম ইয়েচুরি সুপ্রিম কোর্টের সম্মতি পেয়েছেন। তবে তার এই সফর রাজনৈতিক নয়। তারিগামিকে দেখেই ফিরে আসতে হবে ইয়েচুরিকে।
Advertisement
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মীরে অশান্তি এড়ানোর জন্যে নিরাপত্তা কঠোর করে কেন্দ্র। উপত্যকায় কয়েক হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। জারি করা হয় কারফিউ।
এরমধ্যেই গ্রেফতার করা হয় কাশ্মীরের মূলধারার রাজনৈতিক নেতাদের। এদের মধ্যে ইউসুফ তারিগামিও ছিলেন। গত ৯ আগস্ট তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে সীতারাম ইয়েচিুরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাকে শ্রীনগর শহরে পা রাখতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে যে প্রতিনিধি দলটি শ্রীনগরে গিয়েছিল সেখানও ইয়েচুরি ছিলেন। তখনও তিনি তারিগামির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এর পরেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
ইয়েচুরি জানান, তার দলের আড়াই দশকের বিধায়কের স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। বুধবার বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, শ্রীনগর যেতে পারবেন ইয়েচুরি। কিন্তু সেখানে কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া যাবে না। তিনি যেন তারিগামির সঙ্গে দেখা করেই আবার ফিরে আসেন সেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম