প্রবাস

৩৩ হাজার মালয়েশিয়ান অস্ট্রেলিয়ায় শাস্তির সম্মুখীন!

অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে বসবাসের দায়ে ৩৩ হাজার মালয়েশিয়ান নাগরিক শাস্তির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই সব মালয়েশিয়ান নাগরিক অস্ট্রেলিয়ায় ভিজিট ভিসায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। দেশে ফেরত না এসে তারা অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করছেন।

Advertisement

এদিকে, প্রতিনিয়তই শাস্তি দেয়া হচ্ছে মালয়েশিয়ায় থাকা বিভিন্ন দেশের অবৈধ প্রবাসীদের। কিন্তু ৩৩ হাজার মালয়েশিয়ান অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধ হবার কারণে শাস্তির সম্মুখীন হয়েছেন। এ খবরে এখন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিদেশিদের মাঝে চলছে মুখরোচক আলোচনা।

এখন কি করবে মালয়েশিয়া সরকার প্রশ্ন সবার। গত কয়েক বছরে প্রায় ৩৩ হাজার মালয়েশিয়ান যারা অস্ট্রেলিয়ায় ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর শরণার্থীর মর্যাদার জন্য আবেদন করেছে।

মালয়েশিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার অ্যান্ড্রু গোল্ডজিনোভস্কি বলেছেন, মালয়েশিয়ার প্রায় ১০ হাজার ৫০০ জনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেকেই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই শরণার্থী মর্যাদার জন্য আবেদন করেন। এই মুহূর্তে, আমাদের ৩৩ হাজার মালয়েশিয়ার নাগরিক রয়েছে- সিরিয়ান নয়, রোহিঙ্গা নয়- যারা অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেছেন।

Advertisement

গোল্ডজিনোভস্কি বলেছেন, আমরা শরণার্থীদের গুরুত্ব সহকারে নিই। ইদানিং শরণার্থীদের এত বেশি সংখ্যক আবেদন পড়ছে, কোনটি বৈধ এবং কোনটি ভুয়া তা নির্ধারণ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

গত মাসে, সরকার প্রকাশ করেছে যে অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের এপ্রিলের মধ্যে মালয়েশিয়ার কাছ থেকে শরণার্থী ভিসার জন্য ৪ হাজার ৯৭৩টি আবেদন পেয়েছে।

মালয়েশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক মারজুকি ইয়াহিয়া বলেছেন, আবেদনকারীরা পারিবারিক চাপ, বর্ণ ও ধর্মীয় বৈষম্য, এবং গৃহ নির্যাতনসহ বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন।

গোলেডজিনোভস্কির মতে, মালয়েশিয়ার মধ্যে ভিসার অপব্যবহার দেশটিকে লজ্জাজনক অবস্থানে ফেলে দিয়েছে। তবে শিক্ষা এবং প্রচারের মধ্যদিয়ে ক্যানবেরেরা এবং কুয়ালালামপুর উভয়ই এক হয়ে এই অপব্যবহারকে হ্রাস করতে কাজ করে যাচ্ছে।

Advertisement

তিনি বলেছেন, যদিও কিছু কর্মীর এজেন্টরা কাজ করার অনুমতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের দ্বারা সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ানদের অবশ্যই অবহিত ও সতর্ক থাকতে হবে।

হাইকমিশন কর্মকর্তা বলেন, আমি মনে করি না কাগজের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ফিরে যাওয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। মালয়েশিয়ানরা, বৃহত্তরভাবে, অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনেরপ্রশংসা করে।

গোলডজিনোভস্কি আরও প্রকাশ করেছেন, প্রতি বছর ৩-৪ হাজার মালয়েশিয়ান অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান এবং দেশে রিয়েল এস্টেটের দাম বাড়িয়ে তোলে। জানা গেছে, যে মালয়েশিয়ানরা মোট ৪৫৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (আরএমপি ৩.৩ বিলিয়ন) সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়েছে, তবে রাষ্ট্রদূত মনে করেন এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

`অস্ট্রেলিয়ায় রিয়েল এস্টেট ঐতিহ্যগতভাবে শিল্প। মালয়েশিয়ানরা অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে খুব ভাল জানেন এবং তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অনেক ক্রেতার সেখানে সন্তান রয়েছে। সুতরাং, তারা তাদের থাকার জন্য সম্পত্তি বা তাদের দেখার জন্য কোনও জায়গা কিনে। তারা জানে যে অস্ট্রেলিয়া একটি নির্ভরযোগ্য গন্তব্য, খুব কম সার্বভৌম ঝুঁকি, নিয়মগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এমআরএম/জেআইএম