গত কয়েকদিনে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। একে অপরকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে এই দুই দেশ। এর মধেই বৃহস্পতিবার নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করতে চলেছে ইসলামাবাদ।
Advertisement
এক সপ্তাহ আগেই পরমাণু যুদ্ধের কথা বলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর গত ২৬ আগস্ট তিনি আবারও একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
২৬ তারিখেই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে ভারতকে জানিয়েছে পাকিস্তান। কারণ ২০০৫ সালের এক বিশেষ চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশকেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তিনদিন আগেই অপর দেশকে এ বিষয়ে জানাতে হয়।
ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃহস্পতিবার সম্ভবত গাজনভি মিসাইলের পরীক্ষা করতে চলেছে পাকিস্তান। এটি ৩শ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। বেলুচিস্তানের সোনমিয়ানি ফ্লাইট টেস্ট রেঞ্জের ৫৯ কমান্ড পোস্ট থেকে নিক্ষেপ করা হবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
Advertisement
এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্যই ২৮ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করাচি যাওয়ার তিনটি আকাশসীমা বন্ধ রাখা হয়েছে। যে স্থানে এই পরীক্ষা চালানো হবে তার আশেপাশের জলপথেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাহাজ চলাচলও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
গাজনভি পাকিস্তানের একটি স্বল্প মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র। পাকিস্তানের হাতে শাহিন ও গৌরি নামেও আরও দুটি একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রসিদ আহমেদ বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অক্টোবর বা নভেম্বরের দিকে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হতে পারে। কাশ্মীর সমস্যার যদি সমাধান না হয় তাহলে বিষয়টি পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভারতকে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে বলে সতর্ক করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement