গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের আতলড়া গ্রামের অটোরিকশাচালক রমজান আলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে (২৩) ধরে নিয়ে গেছেন শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মোল্লা। এ সময় আমেনার দুই বছরের শিশুকে বাসায় রেখে যাওয়া হয়। দীর্ঘসময় মাকে না পেয়ে কাঁদছে দুধের শিশুটি।
Advertisement
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আটক আমেনা বেগম ওই গ্রামের আটোরিকশাচালক রমজান আলীর স্ত্রী। মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মায়ের দুধ পান করতে না পেরে অভুক্ত রয়েছে শিশুটি।
আমেনা বেগমের ভাই হাবিবুর রহমান ও স্বজনেরা জানান, ৭ আগস্ট আতলড়া গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে আলী আকবর শেখকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় আহত আকবরকে হাসপাতালে নিতে রমজান আলীকে অনুরোধ করেন স্থানীয়রা। অটোরিকশায় চার্জ না থাকায় ও ভয়ে যেতে রাজি হননি চালক রমজান আলী। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান আলী আকবর।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই জয়নাল শেখ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ইউসুফ আলী ও বাদল মিয়াকে সন্দেহজনক আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
Advertisement
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রমজান জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আতলড়া গ্রামে রমজান আলীর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে না পেয়ে দুই বছরের শিশু কন্যা রিমিকে রেখে স্ত্রী আমেনাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর থেকে আমেনা বেগমের শিশুকন্যা মায়ের দুধপান থেকে বিরত রয়েছে এবং রাত থেকে কান্নাকাটি করছে। কিছুতেই কান্না থামছে না শিশুটির।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মোল্লা বলেন, ওই নারীর নামে কোনো মামলা নেই। তাকে একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। বুধবার দুপুরে আমেনাকে তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
শিহাব খান/এএম/এমএস
Advertisement