জাতীয়

স্বাধীনতাবিরোধীদের আলাদা কোনো চরিত্র নেই

স্বাধীনতাবিরোধীদের আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য বা চরিত্র নেই বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।

Advertisement

বুধবার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজউক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে, বাঙালি সত্ত্বাকে, একাত্তরের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য সবচেয়ে আগস্ট মাসেই বড় অভিযান চালিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী, প্রতিক্রিয়াশীল দেশীয় ও বিদেশি চক্র।

মন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের ঘটনা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ১৯৭১ সালে যারা পরাজিত হয়েছিল, তারা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে এবং তার সহযোদ্ধার সাথে নিষ্ঠুর, নৃশংস ও বর্বরভাবে হত্যা করে। এরপর ৩রানভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।

Advertisement

তিনি বলেন, তারপরও তারা শঙ্কামুক্ত হতে পারেনি বলে আবার ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আঘাত হানে শেখ হাসিনাসহ গোটা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য। ৭১ এর আঘাতকারীরা, ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের অঘাতকারীরা, ৩রা নভেম্বরের আঘাতকারীরা, ২০০৪ এর ২১শে আগস্টের আঘাতকারীরা এবং অন্তত ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টাকারীরা একই সূত্রে গ্রথিত। এদের আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য বা চরিত্র নেই।

রেজাউল করিম বলেন, ১৭৫৭ সালে এসেছিল মীর জাফর নামে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশি ওই জাতীয় বিশ্বাসঘাতকরা পশ্চিম পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে, ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট এসেছেছিল মোস্তাক-জিয়া নামে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এসেছে খালেদা জিয়া, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, তারেক রহমানের নামে। এ সবই একই সমীকরণ।

তিনি বলেন, তথাকথিত মুসলমানদের নামে রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে যত অপকর্ম যা ইসলাম সাপোর্ট করে না। স্বাধীনতাবিরোধীরা এ ঘটনাগুলোর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।

রাজউক চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) সাঈদ নূর আলম, মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির ও রাজউক কর্মচারী শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মালেক মিয়া। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এইউএ/এমএসএইচ/এমকেএইচ