জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহ কেউই রাজি হননি শর্ত সাপেক্ষে মুক্তিতে। তাই তিন সপ্তাহ পরও তাদের বন্দিদশা কাটল না। উল্টে বাড়ল তাদের বন্দিদশার মেয়াদ। অগস্ট মাসের প্রথমেই ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্র। আর তখনই এ দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বন্দি করা হয়।
Advertisement
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাবেক এ দুই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজে দেখা করতে গিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক৷ তিনি তখন প্রস্তাব দেন অজ্ঞাত স্থান থেকে তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। যদিও শর্ত দেন বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেলেও, সমর্থকদের নিয়ে কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারবেন না তারা। স্বাভাবিক ভাবেই এমন শর্ত মানতে রাজি হননি মেহবুবা এবং ওমর। অবশ্য এরপর কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয় তাদের আরও বেশ কয়েকদিন বন্দি রাখার।
যদিও সত্যপাল মালিক দাবি করেছেন, তেমন কোনো প্রস্তাব নিয়ে তিনি মেহবুবা এবং ওমরের সঙ্গে দেখা করেননি। কারণ হিসেবে তার ব্যাখ্যা, কাউকে আটক করা বা ছাড়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল নেন না। এদিকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মেহবুবা এবং ওমরকে প্রথমে শ্রীনগরের হরি নিবাস প্যালেসে রাখা হয়ছিল। কিন্তু সেখানে দু’জনের মাঝে মধ্যেই কলহ বাধছিল। ফলে পৃথক গেস্ট হাউসে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে ওমর আবদুল্লাহর বাবা তথা আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহও দাবি করেছিলেন তাকেও গৃহবন্দি রাখা হয়েছে।
Advertisement
এনডিএস/জেআইএম