রাজনীতি

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান না হলে বড় সমস্যা দেখা দেবে

রোহিঙ্গা সঙ্কট দ্রুত সমাধান করতে হবে, তা না হলে শুধু এ অঞ্চল নয়, গোটা এশিয়ায় এটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

Advertisement

সংকটের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের শোডাউনের প্রেক্ষিতে বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, শোডাউনের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা তাদের ঐক্যের বিষয়টি বিশ্বনেতাদের জানান দিয়েছে। কাজটি তারা নিজ দেশে গিয়ে করলে ভালো ফল পেত। এটা অনেক বেশি কাজে লাগত। মনে রাখতে হবে, তারা মানবিক কারণে আশ্রিত। তাদের ভাবা উচিত ছিল, কাজটি আইনসম্মতভাবে করছে কিনা। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কাজ করলে তা কেউ মেনে নেবে না।

নেতৃদ্বয় বলেন, রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব ছাড়া অন্য কোনো সমাধান মেনে নেবে না। সরকারের উচিত এ বার্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর কাছে যাওয়া। বিশ্বনেতাদেরও এ ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে কোনো ধরনের সমাবেশ করার অধিকার রাখে না। তাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, এখানে তারা মানবিক কারণে আশ্রিত। আমাদের দেশের জন্য বিব্রতকর, অস্বস্তিকর- এমন কোনো কাজ করা তাদের মোটেও উচিত নয়।

Advertisement

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে নেতৃদ্বয় বলেন, এ সংকট সমাধানে সরকারের আরও শক্তি বাড়ানো উচিত। রোহিঙ্গাদের মূল বক্তব্য বা দাবি নিয়ে সরকারের মুভ করা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্য সরকার এ নিয়ে কোনো মুভ করছে না।

তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্রয় দিয়ে বড় কাজ করেছেন। বিশ্ববাসীকে তো বুঝতে হবে যে, এটা শুধু বাংলাদেশের দায়িত্ব নয়, সারা বিশ্বেরও। বাংলাদেশের কী করণীয় ছিল? তাদের যদি আটকানোর চেষ্টা করত, তারা ওখানেই মারা পড়ত। আট-দশ লাখ মানুষ মারা পড়লে তাহলে কি ভালো কিছু হতো? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মানবিকতার কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। আর এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আমরা সবাই মিলে দুর্ভোগ পোহাবো, এটা তো স্বাভাবিক নয়। বিশ্ববাসীর এটা বোঝা উচিত। অন্তত বড় যেসব দেশ আছে, তারা সাহায্য-সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত করুক।

কেএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম

Advertisement