কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একই গ্রামে ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেছে। যদিও সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ জন। উপজেলার ছাতারপাড়া গ্রামের এ ঘটনায় ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের গ্রামগুলোতেও। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ওই এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।
Advertisement
এদিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এতদিন এ ব্যাপারে চুপচাপ থাকলেও খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর টনক নড়েছে তাদের। ইতোমধ্যে ওই গ্রামে কাজ করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে ভর্তি আছেন প্রকৌশলী নুর আলম। তার চাচা মাজেদুল ইসলাম বলেন, এলাকায় দিনকে দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরবিন্দ পাল দাবি করেন, ছাতারপাড়া গ্রামে ঈদের পর থেকে ডেঙ্গু রোগ ছড়াচ্ছে। তার দাবি ঢাকা থেকে অনেকে ঈদ করতে গ্রামে আসেন। এরপর থেকেই ওই গ্রামে ডেঙ্গু রোগ দেখা দেয়।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ করতে আসা লোকজন ঢাকায় ফিরে যাওয়ার বেশ ক’দিন পর ওই গ্রামের মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন।
ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, তাদের হিসাবমতে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ওই গ্রামে মোট ৩৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দৌলতপুর ও মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৫ জন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ডেঙ্গু আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ৪৫ জনের মতো।
ডা. অরবিন্দ পাল বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওই গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম কাজ শুরু করেছে।
Advertisement
ওই টিমের সদস্য স্বাস্থ্যকর্মী ওয়ালিউর রহমান জানান, ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার কাজ করছে ওই টিম।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা শারমিন আক্তার বলেন, সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। নতুন করে আর কেউ যেন আক্রান্ত না হয় সে বিষয়ে নজরদারি রয়েছে। এলাকার মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এডিস মশা যেন বংশ বিস্তার করতে না পারে সেজন্য এলাকা পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে একটি গ্রামে ৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দৌলতপুরবাসীর মধ্যে। ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর শুনে এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
আল-মামুন সাগর/এফএ/জেআইএম