যশোরের শার্শায় অবস্থিত বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে এর কাজ শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ’ নামের প্রকল্পটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারত সীমানায় স্থলপথে আমদানি-রফতানি তথা বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সর্ববৃহৎ। এটি ব্যবহার করে স্থলপথে প্রায় ৮০ শতাংশ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ বন্দরের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার মালামাল আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। প্রতি বছর প্রত্যক্ষভাবে প্রায় হাজার কোটি টাকা আয় করে সরকার। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এবং ৫০০ থেকে ৬০০ বাংলাদেশি ট্রাক বন্দরে আগমন করে।
ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের পর টার্মিনালে অবস্থান করার কথা। কিন্তু বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য কোনো টার্মিনাল না থাকায় অধিকাংশ পণ্যবাহী ট্রাক সড়কের ওপর পার্কিং করে থাকে। স্থান সংকুলান ও অবকাঠামো স্বল্পতার কারণে বন্দরের অপারেশন কাজে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানায় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
কর্তৃপক্ষ আরও বলছে, এতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সার্বিক সমস্যার সমাধানকল্পে জমি অধিগ্রহণ করে অ্যাপ্রোচ রাস্তাসহ একটি কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে অ্যাপ্রোচ রাস্তাসহ ২৯ দশমিক ১০ একর জায়গায় কার্গো ভেহিকেল নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হলো। এটি নির্মাণ হলে প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ট্রাক পার্কিং সম্ভব হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় ২৯ দশমিক ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ২৪ হাজার ৫৬৯ ঘনমিটার, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ৬ হাজার বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, পার্কিং ইয়ার্ড/ওপেন ইয়ার্ড ১ লাখ ৪ হাজার ৭০০ বর্গমিটার, ভবন নির্মাণ ১ হাজার ৭৪৭ বর্গমিটার, টয়লেট কমপ্লেক্স ৩টি, মেইন গেট, গেট হাউজ ও সিকিউরিটি সিস্টেম ২টি, ১৭ হাজার ৩ ঘনমিটার পুকুর খনন, ওয়াচ টাওয়ার চারটি, ফায়ার ফাটিং সিস্টেম ১টি এবং ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
পিডি/এমএসএইচ/এমকেএইচ
Advertisement