হংকংয়ের আরএইচকে গ্লোবাল (এইচকে) লিমিটেডের সঙ্গে ওষুধ উৎপাদন সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, গত ২৬ আগস্ট এ চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস সুপার ট্রেমেক্স-১০০ এমজি ব্র্যান্ডের ট্যাবলেট (জেনেরিক নাম-ট্রামাডোল) উৎপাদন করবে। যা আরএইচকে গ্লোবাল লিমিটেডের কাছে রফতানি করা হবে।
কোম্পানির দেয়া তথ্য অনুযায়ী ডিএসই জানিয়েছে, প্রতি বছর ইন্দো-বাংলা ১২০০ মিলিয়ন ট্যাবলেট উৎপাদন করবে। এ প্রকল্প থেকে কোম্পানিটি বছরে ৬০০ মিলিয়ন টাকা আয় হতে পারে।
Advertisement
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করা ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদন শুরু হয়। তালিকাভুক্তির এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটি এমন বড় চুক্তির তথ্য দিলো।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসকে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়।
কারখানা, প্রশাসনিক ভবন, গুদাম ও গ্যারেজ ভবন নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতের ব্যয় মেটাতে কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বিএসইর অনুমোদন নিয়ে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস ১০ টাকা অবিহিত মূল্যে আইপিওতে দুই কোটি শেয়ার ছাড়ে। এক দফা পিছিয়ে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিও আবেদন গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
আইপিওতে চাহিদার অতিরিক্ত আবেদন পড়ায় লটারির মাধ্যমে শেয়ার প্রাপ্ত বিনিয়োগকারী নির্ধারণ করা হয়। কোম্পানিটির আইপিওতে ৩৪ দশমিক ২৪ গুণ বেশি টাকার আবেদন জমা পড়ে।
এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৮ কোটি ৪২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস) ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার এবং ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস ব্যতীত) ১৩৫ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার আবেদন পড়ে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এই কোম্পানিটির আইপিওতে রেকর্ড পরিমাণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবেদন করেন। আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ১ কোটি শেয়ার। অর্থাৎ ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিওর মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। তবে এ ১০ কোটি টাকার শেয়ার পেতে ৭৫৭ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেন। এর আগে কোনো কোম্পানির আইপিওতে এত বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেনি।
এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
এমএএস/এএইচ/পিআর