দেশের সকল স্থল ও নৌবন্দরে আমদানি করা মৌসুমি ফলে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ‘কেমিকেল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এছাড়া বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আলাদা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাজারে থাকা মৌসুমি ফলের নমুনায় ফরমালিন বা কার্বাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
Advertisement
১১৪টি অভিযান পরিচালনা করে এ তথ্য পেয়েছে বিএসটিআই। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৯টি এবং বাকিগুলো নরসিংদীতে পরিচালনা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে প্রতিবেদন দুটি দাখিল করা হয়। পরে আদালতের অবকাশকালীন ছুটির পর এ বিষয়টি কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশ দেন আদালত।
আদালতে আজ (সোমবার) রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। বিএসটিআইর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান (মামুন)।
Advertisement
পরে ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, আমদানি করা ফলে রাসায়নিকের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য স্থল ও নৌবন্দরে ‘কেমিকেল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবেদন আকারে এসব আদালতকে অবহিত করেছে এনবিআর।
এর আগে গত ২৩ জুন মৌসুমি ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ হচ্ছে কি না -তা পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।
মৌসুমি ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ রোধে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়। সেই সাথে এ রিট মামলাটি চলমান রাখা হয়।
এরপর এবারের আমের মৌসুম সামনে রেখে এইচআরপিবি ওই রিটে একটি সম্পূরক আবেদন করার পর গত ৯ এপ্রিল ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ ঠেকাতে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় আম বাগানগুলোতে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
Advertisement
এফএইচ/আরএস/এমকেএইচ