পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে চলার কারণেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এশিয়া মহাদেশে ৪৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮.৩ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।’
Advertisement
সোমবার জাতীয় জাদুঘরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, ‘ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে শেখ হাসিনা বহু মাতব্বরকে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে চলছেন। যখন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর জন্য টাকা দিতে অস্বীকার করে তখন দেশের টাকায় নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই শেখ হাসিনা আগামী পাঁচ বছরে অতি দারিদ্র্য ৫ শতাংশে আনবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
Advertisement
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কূটনীতিক। তিনি বিশ্বকে বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। এর ফলেই স্বাধীনতার পর পরই বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সদস্য পদ দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হতো তাহলে ২০ বছর আগে দেশ সোনার বাংলায় পরণিত হতো।’
শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নিজের কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমি বঙ্গবন্ধু ও তারই কন্যা শেখ হাসিনা- এ দুই সরকারের সঙ্গেই কাজ করতে পেরেছি।’
অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘ঘাতক খুনি জিয়া, মোশতাক জানতো না যে, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু বেশি শক্তিশালী। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা রাখেন।’
Advertisement
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন প্রমুখ।
জেপি/এনডিএস/এমকেএইচ