খেলাধুলা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন জুবায়ের লিখন!

অমিত সম্ভাবনাময় লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন মাত্র ১৩ মাসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ছেদ পড়েছে ৪ বছর আগে ২০১৫ সালেই। এই সময়ে আর জাতীয় দলে ফেরা সম্ভব হয়নি জামালপুরের এ প্রতিভাবান লেগস্পিনারের।

Advertisement

কালের আবর্তে এখন শুধু জাতীয় দলের বাইরেই নন, সে অর্থে কোথাও নেই লিখন। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে তো বটেই, ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের জনপ্রিয় ৫০ ওভারের আসর প্রিমিয়ার লিগেও সে অর্থে খেলার সুযোগ পান না।

এ বছর মানে ২০১৯ সালে এখন পর্যন্ত ঘরের ক্রিকেটে কোন প্রতিযোগিতামূলক আসরে একটি ম্যাচেও মাঠে নামা হয়নি। গত ২০১৭ সালে ঢাকা মোহামেডানের হয়ে কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারেননি এ মেধাবী লেগস্পিনার।

অনেক দিন পর আজ (সোমবার) জাতীয় দলের নেটে দেখা মিললো দার। শেরে বাংলার সেন্টার উইকেটে দীর্ঘ সময় মুশফিকুর রহিমকে বোলিং করা জুবায়ের হোসেন লিখনের সামনে সম্ভবত আর একটি সুযোগ আসছে।

Advertisement

যতদূর জানা গেছে, লিখনকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিনের ম্যাচ খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে। নির্বাচকরা নাকি এমন আভাসই দিয়েছেন।

আজ বিকেলে শেরে বাংলায় জাগো নিউজের সাথে আলাপে জুবায়ের হোসেন লিখন নিজে যেচেই দিলেন এ তথ্য। তার কথা, ‘নান্নু ভাই আমাকে বলেছেন আফগানিস্তানের সাথে চট্টগ্রামে দুই দিনের ম্যাচে আমাকে খেলাবেন। আশায় আছি যদি সুযোগ পাই, সবটুকু উজাড় করে দেব ভাল করতে।’

লিখন সত্যিই দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে খেলবেন কি-না, এ প্রশ্ন করা হলে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, 'এখনও চূড়ান্ত হয়নি আসলে। আমরা এখনও দল ঠিক করিনি তবে সম্ভাবনা রয়েছে অনেক।'

লিখন তো আসলে কোথাও নেই, তাহলে কোন বিবেচনায় তাকে খেলানোর চিন্তা? নান্নুর জবাব, 'আসলে আমাদের হাতে আফগানিস্তানের সঙ্গে দুইদিনের ম্যাচ খেলার মতো পর্যাপ্ত ক্রিকেটারই নেই। এইচপির ছেলেরা ব্যস্ত এমার্জিং ক্রিকেটে আর অনূর্ধ্ব-১৯ দল সবে ফিরেছে ইংল্যান্ড থেকে। কাজেই আমাদের হাতে সে অর্থে অপশন কম।'

Advertisement

আরেকটি কথা প্রধান নির্বাচক উহ্য রেখেছেন। টেস্ট এবং তিন জাতি ক্রিকেটে যেসব স্পিনার বিবেচনায় আছেন, তাদেরকে কোনোভাবেই ঐ দুইদিনের ম্যাচ খেলানো হবে না। পাছে আফগানরা তাদের সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যায়। আর সেটাই হয়তো লিখনকে অনেকদিন পর খেলতে নামার সুযোগ করে দিতে পারে।

এআরবি/এমএমআর/এসএএস/এমকেএইচ