সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আপনারা কি ডেঙ্গু দিয়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চান? সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু হত্যা ও প্রতিরোধ যুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন।
Advertisement
রব বলেন, দেশটা আজ জাহান্নামে পরিণত হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ হচ্ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পূর্ববর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু হত্যাকে দোষারোপের রাজনীতিতে আবদ্ধ রেখেছে। গভীর সত্য অনুধাবন করতে চায়নি। সেনাবাহিনীতে অসন্তোষ, ক্যুর পরিকল্পনা হচ্ছে, সারাবিশ্বে ক্যু, পাল্টা ক্যু ঘটছে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তান, আমেরিকান সিআইএ তৎপর; বাতাসে গুঞ্জন তারপরও কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে নিরাপত্তা কেন দেয়া হয়নি?
তিনি বলেন, এত লোক দিয়ে বিশ্বের কোথাও এ ধরনের ক্যু হয়নি। শুধু ১৫ আগস্টের কথা বলি। সকাল থেকে ট্যাংক বের হচ্ছে, রাতের প্রথম দিকে ট্যাংক রেজিমেন্টসহ শত শত সেনা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুরনো বিমানবন্দরে সমবেত হচ্ছে। সেনাপ্রধান এ বিষয়ে জানেন, কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। গোয়েন্দা সংস্থার কেউ কোনো রিপোর্ট দেয়নি।
‘কোথায় ছিল রক্ষীবাহিনী আর কোথায় সেনাবাহিনী? বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হচ্ছে আর সরকার জেনেও নীরব থেকেছে। এ দায় কার? আওয়ামী লীগের উচিত দোষারোপের বাইরে এ সত্য উপস্থাপন করা। জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে বঙ্গবন্ধু হত্যার গভীর সত্য অনুসন্ধান করা উচিত, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নির্মাণ করা উচিত।’
Advertisement
জেএসডি সভাপতি বলেন, এ স্বৈরাচার, লুটেরা, ডাকাত সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি দিতে হবে। এককভাবে কোনো দল কোনো কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আসলে স্বৈরাচারের আয়ু বৃদ্ধি করবে। ঐক্যবদ্ধ না হলে স্বৈরাচারকে সরানো যাবে না, ফ্যাসিবাদকে সরানো যাবে না।
তিনি বলেন, আপনারা পরিবর্তন চাইবেন কিন্তু বিসর্জন দেবেন না, এতে পরিবর্তন হবে না। পরিবর্তন চাইলে কন্ট্রিবিউট করতে হবে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী। আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান প্রমুখ। এইউএ/এমএআর/এমকেএইচ
Advertisement