স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালির বৈষম্য ও বঞ্চনার ইতিহাস গভীরভাবে অনুভব করতেন। এজন্য তিনি আজীবন এর বিরুদ্ধে মুক্তির জন্য লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। এ সময় তিনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দেশপ্রেম ও সাহসিকতার নজির পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
Advertisement
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে (তৃতীয় তলা) সংসদ সচিবালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এবং হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গসহ সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
Advertisement
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু তার জীবন-যৌবনের বড় অংশ কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি ছিলেন অকুতোভয়, নির্লোভ ও নির্মোহ। অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। মামলা-জেল-জুলুম ও মৃত্যুভয় তাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও তিনি আপস করেননি বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সকল প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের দিনপঞ্জিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বক্ষণই বঙ্গবন্ধু সোচ্চার ছিলেন।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে এবং সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মো. তারিক মাহমুদ ও উপ-পরিচালক সামিয়া রুবায়েত হোসেইন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক উপসচিব একেএমজি কিবরিয়া মজুমদার, সহকারী সচিব আসিফ হাসান, সহকারী পরিচালক মাসুম বিল্লাহ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোস্তফা হোসেন, আতর আলী এবং আবুল খায়ের উজ্জ্বল বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব এস এম মঞ্জুর কবিতা আবৃত্তি করেন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় শোক সংগীত পরিবেশিত হয়।
Advertisement
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি।
এইচএস/এসএইচএস/জেআইএম