সরকার ও বর্তমান সংসদকে বার বার অবৈধ অ্যাখ্যা দিয়ে আলোচনায় আসা বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার হলফনামায় দেখা গেছে, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার থাকলেও তার মূল্য জানা নেই তার। এগুলো উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়া হলফনামায় তা উল্লেখ করেন।
Advertisement
সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়নপত্র জমার দেয়ার সময় হলফনামায় তা উল্লেখ করেন রুমিন ফারহানা। তার নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট থাকলেও গোপন করে সরকারের কাছে ১০ কাঠার প্লট চেয়ে আবেদন করেন। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। হলফনামায় রুমিন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন, ‘আমার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা বার অ্যাট ল’। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করলাম।’ তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ আর দুটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮ এর আওতায়। প্রথম দুটি মামলা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানায়, অপরটি মিরপুর মডেল থানায়। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেন, ‘অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।’
তার হলফনামা অনুযায়ী কৃষিখাত থেকে তার কোনো আয় নেই। বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া বাবদ কোনো আয় নেই। ব্যাংক আমানত (এফডিআর) সুদবাবদ বছরে আয় ৩৪ হাজার ১০০ টাকা। আইন পেশায় বছরে আয় ৪ লাখ টাকা। হলফনামা জমা দেয়ার সময় তার কাছে নগদ টাকা ছিল ৪ লাখ ৫১ হাজার ৩২২ টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪২২ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৫ লাখ টাকা (এফডিআর)।
স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু পাথরের মতো অলঙ্কারিক পরিমাণ ১০ ভরি। তিনি এগুলো উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে তার মূল্য কত জানা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন।
Advertisement
হলফনামায় তিনি আরও লেখেন, আনুমানিক ১৮৫০ বর্গফুট একটি ফ্ল্যাট রয়েছে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডে। সেই ফ্ল্যাটটি তিনি তার মায়ের কাছ থেকে পান।
উল্লেখ, অনেক নাটকীয়তার পর বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ার পর সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পান রুমিন ফারহানা । এরও আগে টেলিভিশন টকশোতে ব্যারিস্টার রুমিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে আলোচনায় আসেন।
ওই আসনে উকিল আবদুস সাত্তারকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। নিজ এলাকার মানুষের কাছে তেমন পরিচিতি না থাকলেও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে রুমিন ফারহানার পরিচিতি রয়েছে।
এমপি হিসেবে শপথ নিয়ে সেই সংসদকে অবৈধ বলে দাবি করায় ফের আলোচনায় আসেন। এরপর সংসদে বক্তব্য দিতে গিয়ে চলমান সংসদকে অবৈধ বলা ছাড়াও সরকারের সমালোচনায় মুখর এই এমপি। এছাড়া দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়েও একাধিকার বক্তব্য রেখেছেন তিনি।
Advertisement
এইচএস/জেএইচ/এমকেএইচ