ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত হননি। এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করলে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর আগস্ট দিন ধার্য করেন।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ১০ জন। আদালতের পেশকার ইফতেখার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
Advertisement
ওই হামলার পর হুমায়ুন আজাদ ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট মারা যান। তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু।
আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক এবং হাফিজ মারা গেছেন।
Advertisement
ওই মামলায় জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেএ/আরএস/জেআইএম