আন্তর্জাতিক

মনমোহন সিংয়ের বিশেষ নিরাপত্তা বাতিল

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজির দেয়া বিশেষ নিরাপত্তা সরিয়ে নিল মোদি সরকার। পরিবর্তে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী সিআরপিএফকে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মনমোহন সিংয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খাতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে তার বিশেষ নিরাপত্তা বাতিল করা হয়। ভারতের অল্প কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে এই নিরাপত্তা দেয়া হয়। মনমোহন সিং সেই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের ফলে এবার থেকে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এসপিজি নিরাপত্তা পাবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মনমোহন সিং এখন জেড প্লাস নিরাপত্তা পাবেন।

এনডিটিভি বলছে, মনমোহন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল ভারতে টানা দুই মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংতার নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা ওয়াকিবহাল নন। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন তিনি।

Advertisement

আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে ভারতের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া ও ভিপি সিংয়ের বিশেষ নিরাপত্তা (এসপিজি) তুলে নেয়া হয়েছিল। তবে ভারতের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী আমৃত্যু এসপিজি নিরাপত্তা পেয়েছিলেন।

ভারতের স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজিতে ৩ হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। যাদের ওপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এই বাহিনী। মূলত প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়ার কাজটি করে থাকে তারা।

২০১৪ সালে কংগ্রেস ক্ষমতা হারানোর পরে মনমোহন সিংহের মেয়েকে এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়া বন্ধ হয়। একই ভাবে অটলবিহারী বাজপেয়ীর পালিত কন্যার এসপিজি নিরাপত্তাও সরিয়ে নেওয়া হয়।

এসপিজি গঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। নিরাপত্তা রক্ষীর গুলিতে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরপরই এই বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।১৯৯১ সালে আত্মঘাতী হামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ঠিক হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাদের পরিবারকে পরবর্তী ১০ বছর এসপিজি নিরাপত্তা দেয়া হবে।

Advertisement

পরে ২০০৩ সালে বিজেপি দলীয় বাজপেয়ী সরকার এই আইন পরিবর্তন করে ১০ বছরের সময়সীমাকে কমিয়ে ১ বছর করে। এছাড়া হামলার আশঙ্কা থাকলে সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা দেয়া হয়।

এসএ/জেআইএম