যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইরানকে শক্তিশালী একটি দেশ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন এবং তেহরানের নেতৃত্বের পরিবর্তন চাননি। ইরানের সাধারণ জনগণের জীবন-যাপনের মান গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
Advertisement
ফ্রান্সে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন গ্রুপ অব সেভেনের (জি-৭) সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অতীতে ইরানের শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন ও শাসক গোষ্ঠীকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এবার সেই সুর পাল্টে তিনি বললেন, ‘আমি আসলেই ইরানকে একটি ভালো দেশ হিসেবে দেখতে চাই, প্রকৃত শক্তিশালী। আমরা ইরানের শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চাই না। আপনারা দেখেছেন, গত ২০ বছর ধরে তারা কীভাবে কাজ করছে, খুব বেশি ভালো করেনি।’
জি-৭ এর সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনার জন্য রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফকে ফ্রান্স আমন্ত্রণ জানানোয় ট্রাম্প তাতে বিস্মিত হননি বলে মন্তব্য করেছেন। তেহরান এবং ওয়াশিংটনের চলমান উত্তেজনা লাঘব চেষ্টার অংশ হিসেবে ফ্রান্স ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
তবে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জাভেদ জারিফকে দেখতে চাননি। এ ধরনের এনকাউন্টার বেশি আগাম হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। ‘আমি জানতাম, তিনি আসছেন এবং আমি এটিকে শ্রদ্ধা করছি। আমরা আবারও ইরানকে ধনী করতে চাই। তারা যদি চায়, তাহলে তাদের ধনী হতে দেন।’
ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির ২০১৫ সালে সাক্ষরিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের মে মাসে বেরিয়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে অর্থহীন উল্লেখ করে নিজ দেশকে প্রত্যাহার করে নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসতে রাজি আছেন বলে জানান ট্রাম্প।
তিনি বলেন, আমরা যা চাই সেটি খুবই সহজ। তাদের পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত চাই। আমরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। আমরা একটি উপযুক্ত সময়ের ব্যাপারে কথা বলতে যাচ্ছি। কিন্তু তাদের সন্ত্রাসবাদ থামাতে হবে। আমি মনে করি, তারা পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। আমি আসলেই সেটি চাই। আমি মনে করি, এটি তাদের জন্য একটি সুযোগ।
সূত্র : রয়টার্স।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম