দেশজুড়ে

৩০ লাখের টাইগারকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি

৩০ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়ে সারাদেশে আলোচনায় আসা ৪২ মণ ওজনের সেই আলোচিত ষাঁড়কে (টাইগার) অবশেষে জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়েছে।

Advertisement

১৮ লাখ টাকা দামে ঈদুল আজহায় ঢাকায় বিক্রি না করে বাড়িতে এনে প্রায় ১৪ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হলো গরুর মালিককে। বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর থেকে গরুটির ওজনও কমতে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে গোয়ালে পা পিছলে দু’পা ভেঙে অসুস্থ হয়ে পড়ে টাইগার। এতে বিমর্ষ হয়ে পড়েন মালিক মিনারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা। ধরে রাখতে পারেননি চোখের পানি। পরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও লোকসান ঠেকাতে ষাঁড়টি জবাই করতে বাধ্য হন তারা।

এরপর বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে গরুটির মাংস বিক্রি করা হয়। এ খবরে মিনারুলের বাড়িতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। প্রিয় গরুটির জন্য স্বজন, গরু লালন-পালনকারী শ্রমিক, উপস্থিত মানুষের অনেকের চোখই ছিল অশ্রুসজল।

Advertisement

শনিবার বিকেলে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছোট গুয়াখড়া গ্রামের মিনারুল ইসলামের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, টাইগারকে জবাইয়ের পর চামড়া ছাড়ানোর কাজ করছেন কসাইরা। সেখানে হাজারো উৎসুক মানুষের ভিড়। খামারি মিনারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানার চোখ ছিল অশ্রুসজল।

এ বিষয়ে জাকিয়া সুলতানা বলেন, টাইগারকে সন্তানের মতো লালন-পালন করতাম। তাকে এভাবে হারাতে হবে বুঝতে পারিনি। খুব কষ্ট হচ্ছে। সব স্বপ্ন ভেঙে গেলো আমাদের।

ওই দিন বিকেলে ৫০০ টাকা কেজি দরে মাংস কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর ক্রেতার সমাগম ঘটে মিনারুলের বাড়িতে। সব মিলিয়ে ২২-২৩ মণ মাংস হয়েছে। সাড়ে ৪ লাখ টাকার মাংস বিক্রি হয়েছে।

৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার ফিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরুটির ওজন হয়েছিল ৪২ মণ। কালো আর সাদা রঙ মিশ্রিত সুঠাম দেহের গরুটির নাম দেয়া হয়েছিল টাইগার। কোরবানির আগে এর দাম ৩০ লাখ টাকা হেঁকে আলোচনায় আসেন খামারি মিনারুল ইসলাম। এ বছর ঢাকার মোহাম্মদপুরে কোরবানির হাটে গরুটির সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ১৮ লাখ টাকা। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে বিক্রি না করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন মিনারুল।

Advertisement

এএম/এমকেএইচ