আইন-আদালত

গণপিটুনি থেকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়?

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুসহ সারাদেশে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের রক্ষা করতে না পারাকে কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা বলে ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

রিটের বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনস্বার্থে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান।

রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।

বাড্ডায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারকে সরকারিভাবে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৮ জুলাই হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সচিব, তথ্য সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার ও বাড্ডা থানার ওসিকে রিটে বিবাদী করা হয়।

Advertisement

সন্তানের স্কুলের খোঁজখবর নিতে গিয়ে গত ২০ জুলাই একদল উম্মত্ত জনতার হাতে নিহত হন রেনু। রিটে রেনুর পরিবারের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দেয়ার জন্যও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।

ছেলেধরা গুজব তৈরি করে গণপিটুনিতে জড়িতদের বিচারে পৃথক আইন তৈরির নির্দেশনার পাশাপাশি গণপিটুনির হাত থেকে রেনুকে বাঁচাতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনি দেয়ার পর ওইদিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়, ছেলেধরা বলে সন্দেহ থেকে তার স্থানীয় লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। সেদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছেলেধরার গুজবের কারণে আরও চার জন গণপিটুনিতে নিহত হন। এ ছাড়া এ গুজবে সেই সময় বেশি কিছু দিনে গণপিটুনিতে আরও বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হন।

Advertisement

এফএইচ/জেডএ/পিআর