বাংলাদেশে আড়াই হাজার মানুষের জন্যে একজন ডাক্তার। আট হাজার মানুষের জন্যে একজন নার্স। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপ আমেরিকার মতো সন্তুষ্টি আশা করা যায় না। তবুও আমরা আশা করি। যখন আশার সাথে প্রাপ্তি মেলেনা, তখন সব দোষ আমরা ডাক্তারদের ওপর চাপাই।
Advertisement
কিন্তু চিকিৎসার সাথে শুধুই কি ডাক্তারদের সম্পর্ক? এখানে অনেক কিছুই আছে। প্রধান সমস্যা জনবল এবং হাসপাতাল সংকট। তবে চলতি ডেঙ্গু ইস্যুতে আমাদের ডাক্তাররা দেখিয়ে দিয়েছেন তারা তাদের দায়িত্ব প্রয়োজনের থেকে কয়েকগুণ পালন করতে পারেন। ইউরোপ-আমেরিকার চেয়েও তারা বেশি কিছু দিতে পারেন। ইউরোপ-আমেরিকার মতো সুযোগ সুবিধা পেলে সেবার দিক থেকে ইউরোপ-আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবেন, আমাদের সুপার হিরোরা।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত এবং আতঙ্কের বিষয় ডেঙ্গু। যদিও ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের ডেঙ্গু রোগের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবু চলতি বছরে ডেঙ্গু পূর্বের সব হিসাবকে ছাড়িয়ে গেছে ।
২৩ সেপ্টেম্বরের বিডি নিউজে২৪-এ প্রকাশিত তথ্য মতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ বাংলাদেশে প্রথম দেখা দেয় ২০০০ সালে। এর পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যেখানে ৫০ হাজার ১৪৮ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। সেখানে এ বছর এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এরইমধ্যে ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। একটি বছরের মোট সংখ্যা (৬০ হাজার) যখন যখন পূর্বের ১৭ বছরের মোট সংখ্যাকে (৫০ হাজার) অতিক্রম করে। তখন সংখ্যার বিচারে সহজে বোঝা যায় কতটা ভয়াবহ অবস্থা এই বছর ছড়িয়েছে ডেঙ্গু।
Advertisement
সাধারণ মানুষ থেকে যারা এই ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের কেউই রক্ষা পাননি। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে রাত দিন পরিশ্রম করছেন চিকিৎসা সেবার সাথে সংশ্লিষ্টরা। কোরবানির ঈদে যখন সবাই মহা আয়োজনে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ঈদ করতে ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক তখন ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবার সংশ্লিষ্ট সবার ঈদের আনন্দ বাদ দিয়ে মানব সেবাকেই ঈদের আনন্দ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
শুধু স্বেচ্ছায় নয় সরকার থেকেও স্বাস্থ্য-বিভাগের চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট সবার ছুটি বাতিল করা হয়। একেকজন ডাক্তার নার্স তাদের স্বাভাবিক ডিউটির সময় থেকেও ৩ গুণ বেশি ডিউটি করছেন। নিজের ৬ মাসের বাচ্চাকে ঘরে রেখে হাসপাতালে ৩০ ঘণ্টা ডিউটি করেছেন এমন একজন নার্সের খবর এসেছে গণমাধ্যমে। ডেঙ্গুর কারণে একজন সিভিল সার্জনসহ কয়েকজন চিকিৎসক মারা গেছেন। ডেঙ্গুতে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ৫৪ ডাক্তারসহ ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
জাতির এমন ক্রান্তি লগ্নে ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য সেবার প্রতিটা বিভাগের অবদান নিশ্চয়ই এই পেশার প্রতি আমাদের সম্মান আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। নিজের জীবন দিয়েও নিজের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার জন্য যে মনোবল এবং নিজের নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন তা আমাদের ডাক্তারদের প্রচুর পরিমাণের রয়েছে। যদিও মাঝে মাঝে কিছু বিতর্কিত মানুষের কারণে সাধারণের সাথে এই পেশার মানুষদের একটি বিরাট গ্যাপ হয়ে গেছে। ঢালাও একটা অভিযোগ শোনা যায় প্রায়ই “ডাক্তাররা কসাই”। একবার ভেবে দেখুন কাদেরকে আপনি এই উপাধি দিচ্ছেন? যারা নিজের জীবন দিয়ে, ঈদের আনন্দ ফেলে, নিজের সংসার রেখে , বাসায় মাছুম বাচ্চা রেখে একটানা আপনার সেবা করে যাচ্ছে থাকে কি এটা বলতে পারেন? নাকি তাদেরকে সুপার হিরো বলা উচিত?
নিশ্চয়ই হাতেগোনা কয়েকজন মানুষের জন্য একটি পেশার সব মানুষকে দায়ী করতে পারিনা। আমাদের দেশের প্রতিটা পেশায় কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে। কিছু ডাক্তারের কাছে রোগী যে শুধু ব্যবসার মাধ্যম সেটাও বাস্তব সত্য। তাই বলে আমরা এই পেশার সবাইকে দোষী বলতে পারিনা। তবে এটাও দুঃখজক যে ডাক্তারদের মধ্যে যে এক-দুইজন খারাপ আছে তাও অনেক ডাক্তার মানতে চান না । এমনকি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে যখন এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তখনও দেখেছি। ডাক্তারদের যেমন স্বীকার করতে হবে তাদের মধ্যে কিছু খারাপ মানুষ আছে, তেমনি সাধারণ মানুষকেও মানতে হবে ডাক্তারদের মধ্যে মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন খারাপ, বাকিরা সুপার হিরো। শুধু মানতে হবে বললেও ভুল হবে। ডেঙ্গু ইস্যুতে এটা প্রমাণিত সত্য যে, আমাদের ডাক্তাররা পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি অনন্য এক মানবিক হৃদয় নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
Advertisement
এই যে ডেঙ্গু রোগের জন্য ডাক্তারদের এত এত চাপ সামলাতে হচ্ছে, জীবন দিতে হচ্ছে কিন্তু আমরা কয়জন জানি এই যে ডেঙ্গুর আগমন নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন ডাক্তাররা। ২৯ জুলাইয়ের দৈনিক দেশরুপান্তরের প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, সেদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. সানিয়া তাহমিনা ঝরা জানান, মার্চ মাসে তারা ঢাকায় এডিস মশার বিষয়ে জরিপ চালান। তখনই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে।
আমরা জানতে পারলাম ডেঙ্গুর কারণে যে ডাক্তারদের উপর চাপ যাচ্ছে। জীবন যাচ্ছে তারাই মার্চমাসে সিটি কর্পোরেশনকে জানিয়েছিলেন ডেঙ্গুর আগমন নিয়ে। আমাদের দুই সিটি মেয়র আর তাদের দায়িত্ব নিয়ে কিছু বলবোনা কারণ তারা ক্ষমার অযোগ্য অবহেলা করেছেন তা দেশবাসীর জানা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সারা বছর যে ডাক্তারদের আমরা গালি দেই সেই ডাক্তাররা আগেই সতর্ক করেছিলেন ডেঙ্গু আসতে পারে। ডেঙ্গু আসার পর তারাই রাত-দিন এক করে আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি অনেকেরও জীবনও গেছে।
হয়তো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় আমাদের নেই । প্রতিদিন শত শত নতুন নতুন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন, ২৫ আগস্টই (শনিবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮২৪ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এত অবদান থাকার পরেও ডাক্তারদের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বা সম্পর্কের টানপোড়েন নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত।
একথা সত্য চিকিৎসা সেবার যেকোন ক্ষোভ প্রকাশ করতে সাধারণ মানুষ বুঝে, না বুঝে ডাক্তারদের উপর ঝাড়েন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্টের দাম বেশি, সেটা নিয়ে মানুষ ডাক্তারদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে। কিন্তু সেখানে তো ডাক্তার সরাসরি দায়িত্বে নয়। অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষোভের যৌক্তিক কারণ থাকলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় চিকিৎসকরা সরাসরি দায়ি নন। দায় চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের। আর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে ডাক্তারদের সংশ্লিষ্ঠতা খুবই সামান্য।
বিবিসি ২৮ জুলাই তাদের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৬ জুলাই রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন। এর আগে ২৫ তারিখ রাত ১১টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এই ২২ ঘণ্টায় মিস্টার ফিরোজের চিকিৎসা বাবদ প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বিল করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা সাধারণের কাছে ডাকাতির সমান। এর দায় কি ডাক্তারের নাকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের? ডাক্তাররা শুধু চিকিৎসা দিতে পারেন। খরচের হিসাব করে হাসপাতাল।
চিকিৎসকরা বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা যে তাদের সামর্থ্যের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক রোগীকে সেবা দিয়ে থাকেন, তা মানুষের বিবেচনায় স্থান পায় না। যেমন সারাদেশের মানুষ ছুটিতে ঈদ উদযাপন করছেন। কিন্তু, সেবা অব্যাহত রাখতে হয়েছে ডাক্তারদের। এই বিষয়টি নিয়ে ১৩ আগষ্ট দ্য ডেইলি স্টারের সাথে কথা বলেছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার। তিনি জানান “এটি সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। চিকিৎসকদের ওপর নাগরিকদের যে অসন্তুষ্টি, এটি সহসা মিটবে না। কারণ, এখানে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে বিশাল ভারসাম্যহীনতা কাজ করছে। বাংলাদেশে আড়াই হাজার মানুষের জন্যে একজন ডাক্তার। আট হাজার মানুষের জন্যে একজন নার্স। এমন পরিস্থিতিতে কী ইউরোপ-আমেরিকার মতো সন্তুষ্টি আশা করা যায়? এই আনুপাতিক হার যতোদিন না কমবে ততোদিন চিকিৎসকদের প্রতি রোগীর সন্তুষ্টি পাওয়া যাবে না।”
তবে মানুষ যত সচেতন হবে এবং বাস্তবতা বুঝতে পারবে ডাক্তারদের প্রতি ক্ষোভ না থেকে সেটা ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় প্রকাশ পাবে, সেটা মনে করেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া । তিনি একটি দৈনিক জাতীয় পত্রিকাকে বলেন, “মানুষ এখন সামনে থেকে দেখে বিশ্বাস করে ডাক্তার-নার্সরা রোগীকে সেবা দেয়। আমরা ঈদের আনন্দ মাটি করে কাজের মাধ্যমে রোগীদের সঙ্গে ঈদ ভাগ করে নিয়েছি। এমন দৃশ্য মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকে দেখছেন। অনেকে বিষয়টি বুঝতে পারছেন। অনেকের ধারণা বদলে যাচ্ছে।”
মাঝে মাঝে রোগীর স্বজনদের যে অভিযোগ আমরা পাই, এমন উত্তেজনার পরিস্থিতির বিবচনা করে অনেকটাই স্বাভাবিক হিসেবে দেখেন অনেক ডাক্তার। তারা বোঝেন যে সাধারণ মানুষ জনবলের অভাব। হাসপাতালে সিটের অভাব এই সব জটিল হিসেব তারা বুঝতে পারেন না। তারা ধরেই নেয় সব সমস্যা সমাধান দেবেন ডাক্তার। তাই তো আমাদের জনগণ যত সচেতন হবেন, যত বুঝতে পারবেন, যে চিকিৎসার সেবার উন্নতরি জন্য শুধু ডাক্তার নয়। অবকাঠামো, জনবল, হাসপাতালের যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন বিষয় জড়িত। সবকিছু পর্যাপ্ত থাকলেই আপনি ১০০ ভাগ আশার সাথে প্রাপ্তির মিল পেতে পারেন।
সাধারণ মানুষের এই অজ্ঞতা নিয়ে ডাক্তারাও যে ধারণা রাখেন তা বোঝাগেলো কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদের মুখে। তিনি বলেন, “আমাদের কাজই হলো রোগীদের সেবা দেওয়া। রোগীরা মাঝে-মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারেন। কারণ কেউ অসুস্থ থাকলে তার মানসিক অবস্থা হয়তো স্বাভাবিক থাকে না। যে কারণে হয়তো একটু ক্ষোভ প্রকাশ ।কিন্তু চলমান ডেঙ্গু ইস্যুতে আমাদের ডাক্তাররা মানবিকতার, দ্বায়িত্বের এবং পরিশ্রমের যে পরিক্ষা দিয়েছেন। শ্রম দিয়ে, মেধা দিয়ে, জীবন দিয়ে তার প্রতিদান সাধারণ মানুষকে দেওয়া উচিত। ডেঙ্গু ইস্যুতে পরিক্ষিত সত্য হচ্ছে এটাই।
ডাক্তারদের চেয়ে আর কারো অবদান শতভাগ ভাগ ছিল না। বরং সিটি কর্পোরেশনের ছিল অবহেলা। যে ডাক্তাররা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তারাই চিকিৎসার চাপ সামলাচ্ছেন। যে ডাক্তাররা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন জীবন দিতে হল তাদেরকে। যে ডাক্তাররা আগেই সতর্ক করে দিয়েছেল ঈদের আনন্দে তাদের ছুটি বাতিল করে আমাদের সেবায় থাকতে হল। অবহেলা যাদের, তাদের তিরস্কার করা। আর যাদের আন্তরিকতায় এই মহামারী মোকাবেলা সহজ হল, সেই সব সুপার হিরোদের স্যালুট করা।
এরই মাঝে দেখলাম একজন মন্ত্রী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন। কিন্তু আসল সম্মাননা সেটাই যা মানুষ মন থেকে প্রকাশ করে। ডেঙ্গু ইস্যুতে সম্মাননা বা কৃতজ্ঞতা জানাতে হলে, একমাত্র শর্তহীন দাবিদার আমাদের ডাক্তার-নার্সসহ চিকিৎসা সেবার সাথে সংশ্লিষ্টরা। যা ইতিমধ্যে সাধারণের মন থেকে তারা জয় করেছেন। সাধারণের কাছে তারা এখন সুপার হিরো।
লেখক : সাংবাদিক।
এইচআর/পিআর