>> সরকারিতে শীর্ষে ঢামেক ও মুগদা>> বেসরকারিতে হলি ফ্যামিলি ও সেন্ট্রাল হাসপাতাল
Advertisement
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ৬৩ হাজার ৫১৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরেছেন ৫৭ হাজার ৪০৫ জন।
পাঠকদের অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে-এ বিপুলসংখ্যক ডেঙ্গু রোগীকে সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে কোন হাসপাতাল কী ভূমিকা পালন করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুসারে, হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতাল ২১ হাজার ২৯৩ জন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১৬ হাজার ৩২৬ জনসহ ঢাকা শহরের সব হাসপাতাল মিলিয়ে সর্বমোট ৩৭ হাজার ৬১৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ২৫ হাজার ৮৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
Advertisement
সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৫ হাজার ৭৯৬ জন, মিটফোর্ডে ৩ হাজার ৬৮, শিশু হাসপাতালে ১ হাজার ৮৬, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২ হাজার ৫৮২, বিএসএমএমইউতে ১ হাজার ১৬, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ৮৬৬, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ হাজার ৭৯৪, বিজিবি হাসপাতাল পিলখানায় ৩২৩, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ১ হাজার ৩৭৭, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ হাজার ১৪৩, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ১৯৬ ও নিটোরে ৪৬ জন চিকিৎসা নেন। ঢাকা শহর ব্যতীত ঢাকা বিভাগের হাসপাতালে ৬ হাজার ৭০৫ জন, চট্টগ্রামে ৪ হাজার ৭৮৪, খুলনায় ৪ হাজার ৮১, রংপুরে ১ হাজার ৫৮১, রাজশাহীতে ২ হাজার ৮৭০, বরিশালে ৩ হাজার ৪৭৫, সিলেটে ৭০৫ ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৬৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।
বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ হাজার ৫০ জন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১ হাজার ৫৩৩, বারডেম হাসপাতালে ৫৪৭, ইবনে সিনা হাসপাতালে ধানমন্ডি ৬৩৯, স্কয়ার হাসপাতাল ধানমন্ডি ৭৩৩, কমফোর্ট নার্সিং ধানমন্ডি ৮০, শমরিতা হাসপাতাল পান্থপথ ২৬০, ডেলটা মেডিকেল কলেজ মিরপুর ২৩৩, ল্যাবএইড হাসপাতাল ১৯২, সেন্ট্রাল হাসপাতাল ধানমন্ডি ১ হাজার ৪২০, হাই কেয়ার হাসপাতাল লিমিটেড ১৮৭, হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতাল ১২৪, গ্রীন লাইফ মেডিকেল হাসপাতালে ৫৬১, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইল ১ হাজার ১৩৬, ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড ৬৪৯, খিদমাহ হাসপাতাল খিলগাঁও ২৯৯, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬৯, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৫০, অ্যাপোলো হাসপাতাল ঢাকায় ৬৬১, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৯৯, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৪১২, বিআরবি হাসপাতাল লিমিটেডে ২৯৭, আজগর আলী হাসপাতালে ৫৫৯, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩২৭, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০৭, সালাউদ্দিন হাসপাতালে ৬২৮, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৬৮, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২২২, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৩৩৭ ও অন্যান্য বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ৭ জনসহ মোট ১৬ হাজার ৩২৬ জন চিকিৎসা নেন।
চলতি বছর মোট আক্রান্ত ৬৩ হাজার ৫১৪ জনের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মেতে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩ ও চলতি ২১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার জন।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে মোট মৃত ৪৭ জনের মধ্যে এপ্রিলে ২, জুনে ৫, জুলাইয়ে ২৮ ও চলতি আগস্ট মাসে ১২ জনের মৃত্যু হয়।
Advertisement
এমইউ/এসআর/পিআর