টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় গ্রাম্য সালিশ অমান্য করে উপস্থিত না হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার এক পরিবারের সঙ্গে সমাজের লোকজনের চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Advertisement
গত শুক্রবার উপজেলার ৭নং উয়ার্শী ইউনিয়নের উয়ার্শী গ্রামের গ্রাম্য সালিশে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান খান সুফলের পরিবারের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ওই গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সুফল উয়ার্শী গ্রামের খোরশেদ আলম খানের ছেলে।
জানা গেছে, ১৪ আগস্ট উয়ার্শী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সাইদুর রহমান খান সুফলের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম মল্লিক হুরমহলের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে আবু সালেহ মোহাম্মদ শরিফুল আলম মল্লিক সিয়ামকে মারপিট করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান ১৬ আগস্ট উয়ার্শী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গ্রাম্য সালিশ বসান। এতে সুফল ও তার পরিবারের লোকজন না আসায় সালিশ পণ্ড হয়ে যায়।
২৩ আগস্ট পুনরায় উয়ার্শী জনকল্যাণ সমিতি বিদ্যালয় মাঠে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে সুফল ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত না হওয়ায় উয়ার্শী জনকল্যাণ সমিতির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম খান লিমটনের সভাপতিত্বে উপস্থিত মাতব্বররা সুফল ও তার পরিবারের সঙ্গে সমাজের কোনো পরিবারের সদস্য চলাফেরা করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন। সালিশে ইউপি চেয়ারম্যানসহ শতাধিক মাতব্বর উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
উয়ার্শী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম মল্লিক সামাজিক সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করে বলেন, সুফলের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক আমার বাড়িতে এসে আমার ছেলেকে মারপিট করে। সুফল আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে একটি বাহিনী তৈরি করেছেন। তার নেতৃত্বে ওই বাহিনীর সদস্যরা সরকারি ভূমি থেকে মাটি কাটা ও মারামারিসহ সমাজে নানা ধরনের অবৈধ কাজ করে চলছে।
চেয়ারম্যানের ছেলেকে কেউ মারেনি উল্লেখ করে সাইদুর রহমান খান সুফল বলেন, সামনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আমি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় বিএনপি নেতাদের যোগসাজশে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সালিশের সভাপতি ও উয়ার্শী জনকল্যাণ সমিতির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম খান লিমটনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান বলেন, গ্রাম্য সালিশের বিষয়টি আমার জানা নেই।
Advertisement
এসএম এরশাদ/এএম/জেআইএম