এডিস মশা নির্মূলে ডিএনসিসির ৩৬ ওয়ার্ডে একযোগে ‘চিরুনি অভিযান’ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
Advertisement
রোববার (২৫ আগস্ট) এডিস মশা নির্মূলে ডিএনসিসির ৩৬ ওয়ার্ডে (১ থেকে ৩৬ নং ওয়ার্ড) ‘এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসকরণ এবং বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ অর্থাৎ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ১৯নং ওয়ার্ড থেকে এ চিরুনি অভিযানের উদ্বোধন করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। পরীক্ষামূলকভাবে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ১৯নং ওয়ার্ডের তিন ব্লকে চিরুনি অভিযান চালানো হয়।
রোববার থেকে ১০ দিনব্যাপী ৩৬ ওয়ার্ডে একযোগে এ অভিযান শুরু হলো। এ লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে এবং প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা এবং মশককর্মীরা প্রতিদিন একটি করে ব্লকে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করবেন। এভাবে ১০দিনে ৩৬ ওয়ার্ডে এ অভিযান সম্পন্ন হবে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা চিরুনি অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত ১৮ ওয়ার্ডেও এ অভিযান চালানো হবে।
Advertisement
অভিযানের প্রথম দিনে আজ ৩৬ ওয়ার্ডে মোট ৯ হাজার ৭৩৬ বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ২৫৮ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা পাওয়া বাড়িগুলোর সামনে ‘এই বাড়ি-প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে' লেখা স্টিকার লাগানো হয়। এ ছাড়া তিন হাজার ১২৩ বাড়ি ও স্থাপনা থেকে এডিস মশা বংশ বিস্তারের অনুকূল পরিবেশ ধ্বংস করা হয়। চিরুনি অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে গুলশানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪৪ নম্বর গুলশান এভিনিউর জি এস কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এএস/এএইচ/জেআইএম
Advertisement