এডিস মশা নির্মূলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৬টি ওয়ার্ডে চলমান ‘চিরুনি অভিযানে’ কোনো বাড়ি-প্রতিষ্ঠানের কেয়ারটেকার-নিরাপত্তা প্রহরী-মালিক অসহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
Advertisement
গুলশান ২ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেট প্রাঙ্গণে রোববার ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিরুনি অভিযান চলাকালে ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অনেক বাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, অনেকে সময়ক্ষেপণ করছেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইতোমধ্যে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছেন, তবে আরও এগিয়ে আসতে হবে।’
মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসির সব বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, খোলা জায়গা, পরিত্যক্ত ভবন ইত্যাদি ১০ দিনব্যাপী চলমান চিরুনি অভিযানের আওতায় আসবে, কিছুই বাদ যাবে না। তবে পরবর্তীতে এটি চালিয়ে যাওয়াই মূল চ্যালেঞ্জ এবং এ জন্য বছরের ৩৬৫ দিনই এডিস মশা নিধনে কাজ করতে হবে। আমরা শিগগিরই ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্টের (আইভিএম) পরিকল্পনা প্রকাশ করব।’
Advertisement
মশক নিধনের যন্ত্রপাতি আধুনিকীকরণ, মশক নিধনকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, কীটনাশক প্রয়োগের পরে মশাসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ সর্বোপরি পরিবেশের ওপর প্রভাব ইত্যাদি গবেষণা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ এ পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও জানান ঢাকা উত্তরের নগরপিতা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান, ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র সভাপতি পীযুষ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চিরুনি অভিযানের লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে এবং প্রতিট ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি ব্লক থেকে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এএস/এনডিএস/পিআর
Advertisement