জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৬ হাজার লুটেরা ও দুর্নীতিবাজ রয়েছে। তাদের ধ্বংস করতে পারলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।
Advertisement
রোববার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর তোপখানা রোডের প্রেস কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট শাহবাগ থানা শাখা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ইনু বলেন, সোনার বাংলা গড়ার পথে একটা বাধা লুটেরা ও দুর্নীতি। দেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৬ হাজার দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা রয়েছে। তারা রাষ্ট্র, রাজনীতি ও অর্থনীতিকে জিম্মি রেখেছে। এরা ১৫ আগস্টের মতো ঘর কাটা ইঁদুর। এরা এখন ফসল কাটা ইঁদুর। তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে ১৬ হাজার ঘর কাটা ও ফসল কাটা ইঁদুর ধ্বংস করতে কঠোর হতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে পারবো।
তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তাবাদে কোনো আপস করা যাবে না। ইবলিসের সঙ্গে ঐক্য হয় না। কৌশল করে ইবলিসের সঙ্গে হাত মেলানো যাবে না। রাজনৈতিক মোল্লাদের সঙ্গেও কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।
Advertisement
এ সময় ১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে খুনিরা বাংলাদেশের জাতিসত্তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইনু বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পাকিস্তান পন্থার দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সংবিধান কাটা-ছেঁড়া করা হয়েছিল। ’৭১’র ঘাতকদের রাজনীতিতে টেনে আনা হয়। তাদের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়। খুনিদের রক্ষা করা হয়। দেশে দ্বিজাতি ব্যবস্থা চালু করা হয়। রাজনীতিতে একটি মহাচক্রান্ত করা হয়। এর মূলপরিকল্পনাকারী ছিল খন্দকার মোশতাক। ফারুক, রশিদ ও ডালিমরা ছিল জল্লাদ। এর সঙ্গে জিয়াসহ যারা জড়িত ছিল তাদের সম্পর্কে জনগণের ধারণা রয়েছে। তাই দেশবাসীর জানার অধিকার আছে, বঙ্গবন্ধুকে কারা হত্যা করল। বঙ্গবন্ধুর আপনজনরা কীভাবে তাকে হত্যা করলো। এই আপনজনরা বঙ্গবন্ধুর বাসায় থাকতো, ঘুমাতো। ফারুক, রশিদ ও ডালিমরা সবাই শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এমনকি শেখ কামালের বিবাহ অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশতাক উকিলবাবা ছিলেন। আওয়ামী লীগের এতো নেতা থাকতে মোশতাক কীভাবে উকিলবাবা হলেন। সোনার বাংলা গড়ার কাজটা ১৫ আগস্ট এরা বন্ধ করেছিল।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরত যাত্রায় আছি। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। এখনও আগুন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। ওরা কোণঠাসা হয়েছে। কিন্তু আত্মসমর্পণ করেনি। এখনও যুদ্ধাপরাধীদের ত্যাগ করেনি। যদিও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেশকে সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিক শাসনের অন্ধকার থেকে টেনে তুলে নিয়ে আসতে পেরিছি। দেশকে দেশের পথে চালিত করতে পেরেছি।
সংগঠনের সহ-সভাপতি রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক টুকু, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
Advertisement
এইউএ/এএইচ/পিআর