আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া সব সময় দাপিয়ে বেড়ায়। কখন যে কোন পণ্যের ওপর আছর পড়ে সেটা বলা মুশকিল। তবে মওকা বুঝেই যে মুনাফালোভী সিন্ডিকেট সক্রিয় হয় সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। কখন কোন পণ্যের দাম বাড়ালে অধিক মুনাফা পাওয়া যাবে সেটি নিয়ে যেন রীতিমত গবেষণা করা হয়। আর তার গিনিপিগ হয় সাধারণ মানুষ। এটা কোনো কাজের কথা হতে পারেনা।
Advertisement
এবার মূল্যবৃদ্ধির ভূতের আছর পড়েছে পেঁয়াজের ওপর। দেশে হঠাৎ ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আবার বেড়ে গেছে। দিনাজপুরের হিলির আড়ত ছাড়াও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারেও প্রতিদিন দাম বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ২০ টাকা বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজের বাজারেও।
হিলির আড়তগুলোতে কোরবানির ঈদের আগে যে পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২২-২৫ টাকা দরে, সেই পেঁয়াজ এখন ৩৫-৪০ টাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮ টাকা দরে, যা ঈদের আগে ছিল ২৬-২৮ টাকা। চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে পেঁয়াজ
বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে। ঢাকার খুচরা বাজারেও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৬-১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। চার দিনের ব্যবধানে ঢাকার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে আরো ১০-১৫ টাকা। এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।
Advertisement
আমাদের দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। ফলে নানা উসিলায় বাড়ে দ্রব্যমূল্য। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরবরাহে ঘাটতির কথা বলা হচ্ছে। ঘাটতি কমবেশি থাকতে পারে। তাই বলে দাম আকাশচুম্বী হবে? হঠাৎ করে এই মূল্যবৃদ্ধি নিশ্চিতভাবেই আস্বাভাবিক। এবং তা ভোক্তাদের নিদারুণ দুর্ভোগে ফেলেছে। মূল্যবৃদ্ধির এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এইচআর/এমএস