আইন-আদালত

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সুবহানের আপিল আজকের তালিকায়

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আব্দুস সুবহানের ট্রাইব্যুনালের রায়ে দেয়া দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে।

Advertisement

সুবহানের করা আপিল আবেদন শুনানির দিন ধার্য করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রোববারের (কজলিস্টে) কার্যতালিকায় আপিল শুনানির জন্য রয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মাওলানা আবদুস সুবহানের পক্ষে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আপিল আবেদনের অ্যাডভোকেট অনরেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।

Advertisement

আপিলের পর আব্দুস সুবহানের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, ট্রাইব্যুনাল মাওলানা সুবহানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে যে রায় দিয়েছেন, ওই রায়ে ৯২টি ত্রুটি শনাক্ত করে তিনটি ভলিউমে ১১৮২ পৃষ্ঠার আপিল আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১২ সালের একটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা বলেছিলেন। অথচ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীরা বলেছেন, ওই ঘটনাস্থল ৪০ বছর আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ মামলার ছয়জন সাক্ষীর বয়স ২ থেকে ৬ বছর, যারা কোনোভাবেই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হতে পারে না।

২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সুবহানকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে ৯টি অভিযোগের মধ্যে ৬টিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩টিতে মৃত্যুদণ্ড ও অপর দুটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অপর একটি অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন।

২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৯টি অভিযোগে মাওলানা সুবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে মাওলানা সুবহানকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ট্রাইব্যুনালের আদেশে তাকে আটক রাখা হয়।

এফএইচ/এমএসএইচ

Advertisement