সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের রতনকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ওসমান আলী (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
Advertisement
এর আগে সকালে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গ্রুপ ও তারাব আলী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
নিহত ওসমান আলী হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আটকরা হলেন- তারাব আলী (৬০) ও এরশাদ আলী (৩৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সকালে উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গ্রুপ ও তারাব আলী গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধের জের ধরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লাঠি, ফালা, হাঁসুয়া, রামদা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ওসমান আলী বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
Advertisement
অন্য আহতরা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান মজিদ গ্রুপের শামছুল আলম (৫২), রহিমা বেগম (৫৫), শরিফ (২৫) ও সাইদুল (২৫)। এদের মধ্যে শামসুল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপরদিকে তারাব আলী গ্রুপের আহতরা হলেন- হোসেন আলী (৪৫), পালো আলী (২৫), গোলজার সরকার (৪৫), কালু (২২) ও রমজান আলী (২২)। আহতদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও শাহজাদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারাব আলী গ্রুপের লোকজন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে ত্রাস সৃষ্টি করে। এতে আমি বাধা দেয়ায় তারা সকালে আমার লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, সকালে রতনকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএআর/এমএস
Advertisement