প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি, সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ।
Advertisement
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। শনিবার বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার নামাজে জানাজা হয়।
জানা শেষে সেখানে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়।
Advertisement
শহীদ মিনারে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ ন্যাপসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা আসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি আদর্শিক রাজনীতি করে গেছেন। এটাই তার স্বকীয়তা। তিনি পদপদবির পেছনে দৌড়াননি। তিনি অত্যন্ত নির্লোভ ও সৎ মানুষ ছিলেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের অবদান অনস্বীকার্য। তার চলে যাওয়া কখনও পূর্ণ হওয়ার নয়। আমরা তার মৃত্যুতে শোকাহত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, তিনি সম্মাননার পেছনে ছুটেন। তিনি পদপদবির পেছনে ছুটেননি। তিনি প্রমাণ করে গেছেন রাজনীতিতে আদর্শই গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
হাসানুল হক ইনু বলেন, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ একজন জাতীয় নেতা ছিলেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছিলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আজীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন। আমাদের উচিত তার আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হওয়া।
এ ছাড়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ বড়ুয়া, জুনায়েদ সাকি, মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কমরেড সিরাজুল ইসলাম, আয়েশা খানমসহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তি।
এমএইচ/জেডএ/জেআইএম