রাজনীতি

কিছু নেতা সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহারের চেষ্টা করছে

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো বড় রাজনৈতিক দলগুলো অসাম্প্রদায়িক হলেও এসব দলের ভেতর থেকে কিছু নেতা রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহারের চেষ্টা করছে।

Advertisement

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শ্রী কৃষ্ণ সেবা সংঘ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গোড়া ধর্মভিত্তিক নয়। সে কারণে কারও কোনো শঙ্কার কারণ নেই। বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিন সম্প্রদায়িকতাকে গ্রহণ করেনি এবং ভবিষ্যতে কোনোদিন গ্রহণ করবে না।

তিনি বলেন, আমাদের বড় রাজনৈতিক দলগুলো, যাদের ন্যাশনাল লেভেলে অবস্থান আছে। যেমন- আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি- সবগুলো দলই মোটামুটি কাছাকাছি। কোনো দলই সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু এই দলগুলোর ভেতর থেকে কিছু কিছু মানুষ রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করে।

Advertisement

‘আপনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে যান, তারা ধর্মের গোড়ামিটা পছন্দ করে না। যাদের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে এমন ব্যক্তিকে কোনো মানুষ রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় আনতে চায়বে না। বাংলাদেশের মানুষ বড় দলগুলোকে ভালোবাসে। কারণ, তারা যেমন ধর্মকে বিশ্বাস করে, তেমনি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে,’- বলেন জিএম কাদের।

যারা ব্যক্তি স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা করে, তারা সফল হতে পারে না- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিছু মানুষ তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করতে চায়। তারা কোনো দিন সাকসেসফুল (সফল) হয়নি, ভবিষ্যতেও কোনোদিন সাকসেসফুল হবে না।

সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করা সংক্রান্ত দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু শব্দটা শুভকর নয়। এটা আমাদের সমাজের জন্য লজ্জার। কেন আমরা সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকব। আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমাদের উদ্দেশ্য সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা। আমরা কোনোদিন ধর্মের গোড়ামিকে প্রশ্রয় দেব না।

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আইন করা সংক্রান্ত এক দাবির বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, আমাদের জন্য অবশ্যই লজ্জার বিষয় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার এতো বছর পর আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য আলাদা আইন করতে হবে। আমরা যারা রাজনীতি করি, সবার জন্য এটা লজ্জার। তথাপি আপনারা যদি মনে করেন- কীভাবে এটা করতে হবে, আমাদের জানাবেন। আমাদের ড্রাফট করে দেবেন। এটা যাতে বাস্তবায়িত হয়, আমরা তার জন্য চেষ্টা করব।

Advertisement

‘শ্রী কৃষ্ণ সেবা সংঘে’র সভাপতি নকুল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, শ্রী কৃষ্ণ সেবা সংঘের নেতা সুজন দে প্রমুখ।

এমএএস/জেডএ/এমএস