প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা, শব্দ কিংবা আলো সহ্য করতে না পারা আর সেইসঙ্গে বমিভাব কিংবা বমি। এই হলো মাইগ্রেনের লক্ষণ। আর এই মাইগ্রেন নামক যন্ত্রণায় কতজনকে যে ভুগতে হচ্ছে তার সঠিক কোনো হিসাব নেই। এটি পরিপূর্ণভাবে নির্মূলও সম্ভব নয়। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়মিত মেনে চললে তা আপনাকে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক তেমনই সাতটি উপায়-
Advertisement
যোগাসন: প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট যোগাসন করলে আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ফলে মাইগ্রেনের মতো সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেইসঙ্গে স্ট্রেস, ক্লান্তি ইত্যাদি দূর করতেও যোগাসন বেশ কার্যকরী।
আদা: একটা বাটিতে পরিমাণমতো পানি নিয়ে তাতে অল্প করে আদার গুঁড়া মিশিয়ে সেই পানি অন্তত মিনিট ফোটান। এরপর পানিটুকু কাপে ঢেলে চায়ের মতো করে পান করুন। এমনটা করলেই দেখবেন মাইগ্রেনের লক্ষণ কমতে শুরু করবে।
কফি: শরীরের প্রদাহ কমিয়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে ক্যাফিনের কোনো বিকল্প হয় না। তাই এবার থেকে যখনই মাথায় যন্ত্রণা হবে, অল্প করে কফি খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন যন্ত্রণা দূর হয়ে যাবে। তবে দিনে ১-২ কাপের বেশি খফি না খাওয়াই ভালো।
Advertisement
দারুচিনি: মাইগ্রেন এবং মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যার প্রকোপ কমাতে দারুচিনি বেশ উপকারী। এক্ষেত্রে পরিমাণমতো দারুচিনি নিয়ে প্রথমে গুঁড়া করে নিতে হবে। এরপর তাতে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে সেটি কপালে লাগাতে হবে। এরপর ৩০ মিনিট শুয়ে থাকার পর ধুয়ে ফলতে হবে। প্রতিদিন ব্যবহার করলে উপকার মিলবে দ্রুত।
আকুপাঞ্চার: ক্রণিক মাথা যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি মাইগ্রেন সংক্রান্ত বাকি লক্ষণগুলির প্রকোপ কমাতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে আকুপাঞ্চার। তাই আপনি যদি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হন, তাহলে আজই আকুপাঞ্চারের কিছু পদ্ধতি শিখে নিন।
তুলসি পাতা: তুলসি পাতা মাইগ্রেন সারাতে কার্যকরী। এতে উপস্থিত বেশকিছু কার্যকরী উপাদান পেশিতে রক্তসরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কয়েক ফোঁটা তুলসি পাতার তেল নিয়ে মাথায় মাসাজ করলেই দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
ল্যাভেন্ডার তেল: ৫-৬ কাপ পানি পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর তাতে ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে সেই পানির ভাপ নিতে থাকুন। এমনটা করলেই দেখবেন মাইগ্রনের কষ্ট কমে যেতে শুরু করবে। আরেকভাবে ল্যাভেন্ডার তেলকে কাজে লাগাতে পারেন। অল্প করে এই তেলটা নিয়ে কপালে লাগিয়ে ভালো করে মাসাজ করুন। এতেও সমান উপকার পাবেন।
Advertisement
এইচএন/জেআইএম