ভারতের ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখা সকলের কাছে কৃষ্ণাপ্পা গোথাম নামটি বেশ পরিচিত। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার মাধ্যমে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন এ ডানহাতি অফস্পিনিং অলরাউন্ডার।
Advertisement
এবার তিনি নিজেকে নিয়ে গেলেন আরেক উচ্চতায়। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগের এক ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে রীতিমতো ঝড় বইয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট হাতে করেছেন সেঞ্চুরি, পরে বল হাতে মাত্র ৪ ওভারেই সাজঘরে পাঠিয়েছেন ৮ ব্যাটসম্যানকে।
শুক্রবার শিমোগা লায়নসের বিপক্ষে ভিজেডি পদ্ধতিতে ৭০ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে কৃষ্ণাপ্পার বেলারি তাস্কার্স। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৭ ওভার করে খেলার সুযোগ পায় দুই দল। কৃষ্ণাপ্পার সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাট করে ২০৩ রানের সংগ্রহ পায় বেলারি। পরে তার অফস্পিনিং বোলিং ভেলকিতে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় শিমোগা।
বেলারির পক্ষে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা কৃষ্ণাপ্পা। ইনিংসের ১৮তম বলে উইকেটে আসেন তিনি, অপরাজিত থাকেন একদম ১০২তম বল পর্যন্ত। এর মাঝে ৫৬টি বল খেলে ১৩ বার বলকে সীমানা ছাড়া করেন উড়িয়ে, আরও ৭ বার মাটি কামড়ে দড়ির ওপারে যায় ছয় আউন্সের সাদা চর্মগোলক। প্রায় ২৫০ স্ট্রাইকরেটে ৫৬ বলে ১৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
Advertisement
পরে শিমোগার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে দ্বিতীয় বলেই আঘাত হানেন কৃষ্ণাপ্পা। তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন শিমোগার দুই ব্যাটসম্যান অক্ষয় বাল্লাল এবং পবন দেশপান্ডে। দুজন মিলে ৬০ বলে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। এরপরই তাদের ইনিংসে আসে কৃষ্ণাপ্পা ঝড়।
দ্বাদশ ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার নিয়ে আসেন কৃষ্ণাপ্পা। ওভারের দ্বিতীয় বলে সেট ব্যাটসম্যান বাল্লালকে ফিরিয়ে শুরু করেন তাণ্ডব। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ বলে অভিমান্যু মিথুন এবং দেশপান্ডেকে সাজঘরে পাঠিয়ে পূরণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক।
নিজের পরের ওভারে অল্পের জন্য দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হয় তার। ১৪তম ওভারে বোলিং করতে এসে ৪ বলের ব্যবধানে আরও ৩ উইকেট নেন তিনি। আর নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে ১ উইকেট নিয়ে ৮ উইকেট পূরণ করেন কৃষ্ণাপ্পা।
একপর্যায়ে ২ উইকেটে ১০৬ রান থেকে চোখের পলকে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় শিমোগা। কৃষ্ণাপ্পার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪-০-১৫-৮ আর ম্যাচে তার পারফরম্যান্স ৫৬ বলে অপরাজিত ১৩৪ এবং ১৫ রানে ৮ উইকেট।
Advertisement
এসএএস/জেআইএম