মেডিকেলের প্রশ্নপত্র সরবরাহ ও ভর্তি নিশ্চয়তার রফা হতো ১২ লাখ টাকায়। আর এ সমুদয় অর্থের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আগাম চেক নেয়া হতো। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এক ডাক্তারসহ চারজনকে আটকের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার মহাখালী ডিওএইচএসের ৩০ নম্বর সড়কের ৪৩২ নং বাড়ি থেকে এ চক্রকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ৮৮ কপি প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র, এক কোটি ২১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা সমমূল্যের ১৩টি চেক এবং নগদ ৩৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।আটককৃতরা হলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা জসীম উদ্দীন (৪১) এবং নোয়াখালীর একটি হাসপাতালের ডাক্তার জেড এম সালেহীন শোভন (৪০), এস এম সানোয়ার (৩০) ও আকতারুজ্জামান তুষার (৩৮)। র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে প্রশ্নপত্র বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এরা প্রশ্ন ফাঁসের আগে ও পরে বিভিন্ন স্তরে ভাগ হয়ে কাজ করতো। প্রশ্ন ও ভর্তি নিশ্চয়তা বাবদ তারা নগদ ১২ লাখ টাকা অথবা সমমূল্যের চেক নিত।আটককৃত জসীম উদ্দীন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সানোয়ার ই-হক কোচিং সেন্টারের শিক্ষক এবং তুষার লাইলি আবেদ কন্সট্রাকশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ডা. শোভন স্যার সলিমুল্ল্যাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে রোগী দেখতেন। পাশাপাশি তিনি মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারের শিক্ষকও ছিলেন। র্যাব জানায়, তুষার এবং সানোয়ারের দায়িত্ব ছিল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করা। এছাড়াও তারা মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজের কথা বলে আর্থিক চুক্তি করত। চুক্তিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের কলেজে ভর্তির নিশ্চয়তা ও পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্নপত্র সরবরাহের কথা উল্লেখ করা থাকতো।প্রশ্নসংগ্রহের মূল কাজটি করতো জসীম উদ্দিন ও ডা. শোভন। তবে তারা কাদের কাছ থেকে এসব প্রশ্ন সংগ্রহ করতো এ বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানান মুফতি মাহমুদ খান। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।# মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস : ডাক্তারসহ আটক ৪# প্রশ্নপত্র তো সেফটি ট্র্যাঙ্কে তালা মারা, পাবে কোথায়?এআর/এসএইচএস/এএইচ/পিআর
Advertisement