আইন-আদালত

নোয়াখালী আদালতের নাজিরের জামিন বাতিলে রুল

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দুই মামলায় নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির আলমগীর হোসেনকে দেয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গ্রেফতার করার পর ওই দিনই তাকে নোয়াখালী আদালত থেকে দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারির আদেশ দেন।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, ‘জেলা জজ আদালত তাকে গ্রেফতারের দিন জামিন দিয়েছিল। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিভিশন করেছি। আজ হাইকোর্ট বিভাগ তার জামিন বাতিলে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।’

Advertisement

আইনজীবীরা জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় ৫ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের নোয়াখালীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের নাজির আলমগীর হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরমধ্যে নাজমুন নাহার তার স্ত্রী এবং আফরোজা আক্তার তার বোন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মোট ৭ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকার সম্পত্তি অর্জন করেন। ওই সম্পদ ভোগদখল রেখে প্রতারণামূলক মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের উৎস গোপনের লক্ষ্যে হেবা দলিল সম্পাদন, দলিলে জাল জালিয়াতি এবং বেনামে সম্পদ অর্জন এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঐশী ট্রেডার্সের ব্যবসার আড়ালে মোট ২৭ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৬ টাকা অবৈধভাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছেন।

এ ছাড়া মো. আলমগীরকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়।

দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী হয়েও নাজিরের দাফতরিক পরিচয় গোপন করে ব্যবসার হিসাব দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাব খুলে ২০১০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৭ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৬ টাকা লেনদেন করেছেন। ৫ আগস্টই দুদকের হাতে গ্রেফতার হন আলমগীর। পরে অবশ্য ওইদিনই নোয়াখালীর আদালত তাকে জামিন দেন।

Advertisement

এফএইচ/এনডিএস/এমকেএইচ