কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় নার্স বিলকিস আক্তার (৪০) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তারই সহকর্মী জসিম। পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানান তিনি।
Advertisement
বুধবার দুপুরে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সহকর্মী পরকীয়া প্রেমিক জসিম জানান, বিলকিসের সঙ্গে তার এবং উজ্জ্বল নামে আরও এক সহকর্মীর গভীর সম্পর্ক ছিল। তারা তিনজনই একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের বাঁধবাজার কাঞ্চনপুর বাঁশের সাঁকো সংলগ্ন এলাকা থেকে বিলকিসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিলকিস শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় তার স্বামী রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
Advertisement
পরে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট এলাকা থেকে জসিম উদ্দিন (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিলকিস যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন জসিমও সেখানে চাকরি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমারখালী থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিলকিসের সঙ্গে জসিমসহ উজ্জ্বল নামে আরও একজনের গভীর সম্পর্ক ছিল। তারা তিনজনই একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে জসিমের বিরোধ দেখা দেয়। তারই প্রেক্ষিতে বিলকিসকে জগতি ক্যানেলপাড়ে বেড়াতে নিয়ে যায় জসিম। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বিলকিসকে আঘাত করে জসিম। এতে তার মৃত্যু হলে বস্তাবন্দি করে ক্যানেলের পানিতে মরদেহ ভাসিয়ে দেয় সে।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, বুধবার দুপুরে জসিমকে কুষ্টিয়া আদালতে নেয়া হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় জসিম। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এএম/পিআর
Advertisement