ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়েছে গায়ক, সুরস্রষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দের। উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ১০ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে নেওয়া হয়েছে থাইল্যান্ডে। সেখানকার পায়থাই হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা। লাকী আখন্দের চিকিৎসায় পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিকিৎসার জন্য এই সুরস্রষ্টাকে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন তিনি। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন টেলিফোনে জাগো নিউজকেএ তথ্য জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এই সহায়তা দিয়েছেন। জানা গেছে, সস্কৃতিমন্ত্রী ও দেশবরেণ্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী লাকী আখন্দের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন।প্রধানমন্ত্রীর এই অনুদানের খবরে আনন্দিত সংগীতাঙ্গন। সেইসাথে লাকী আখন্দের পরিবারও খুশি প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, আগামী রোববারেই অনুদানের পাঁচ লাখ টাকা শিল্পীর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে, নন্দিত গীতিকবি আসিফ ইকবাল জানালেন, কেমোথেরাপিতে তেমন সাড়া মিলছে না। তাই বৃহস্পতিবার অপারেশনে নেয়া হবে লাকী আখন্দকে।প্রসঙ্গত, গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। রাখা হয় সিসিইউতে। চিকিৎসকরা জানান, তার ফুসফুসে পানি জমেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার পরামর্শও দেন তারা। লাকী আখন্দ সংগীত জীবনে অসংখ্য কালজয়ী গান সুর করেছেন, গেয়েছেনও। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য হ্যাপী আখন্দের ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘কে বাঁশি বাজায় রে’, ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’, কুমার বিশ্বজিতের ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, সামিনা চৌধুরীর ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ফেরদৌস ওয়াহিদের ‘মামনিয়া’, নিজের গাওয়া ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘আগে যদি জানতাম’।এনই/এসএ/এলএ
Advertisement