জাতীয়

ধার করে আর বিমান কেনা হবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে চাই। তাই এখন থেকে আমরা নিজেদের অর্থ দিয়ে বিমান ক্রয় করব। বিমান নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ড্রিমলাইনার গাঙচিল উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

ধার করে আর বিমান কেনা হবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ নিয়ে উড়োজাহাজ কেনা হলেও এখন থেকে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নিজস্ব অর্থ ঋণের মাধ্যমে বিমান কেনা হবে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনাল কনফারেন্স হলে আয়োজিত গাঙচিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে গাঙচিলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন আসা উড়োজাহাজ ঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, পাশাপাশি বাড়াতে হবে যাত্রীসেবার মান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। সেই সঙ্গে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে হবে।

শোকের মাসে জাতির পিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, শোকের মাস আগস্টে আমরা ড্রিমলাইনার ৭৮৭ উদ্বোধনের জন্য উপস্থিত হয়েছি। বিমান স্বাধীনতার প্রতীক। বিমান পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান সাবেক ও এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল প্রমুখ।

Advertisement

২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার জন্য ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর আগে এগুলোর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ যুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি ড্রিমলাইনারের ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানের বহরে আকাশবীণা ও হংসবলাকা যুক্ত হওয়ার পর আজ যুক্ত হলো ড্রিমলাইনার গাঙচিল। আগামী সেপ্টেম্বরে দেশে আসতে পারে চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’।

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি বিকাল সাড়ে ৫টায় (বিজি-০২৭) ঢাকা থেকে আবুধাবির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে বলে বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহাত হাসান জামিল জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আকাশে উড্ডয়নের সময় এ বিমান থেকে ফোন করতে পারবেন যাত্রীরা। গাঙচিলের আসন সংখ্যা ২৭১। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪ এবং ২৪৭ ইকোনমিক ক্লাস। এটি ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল বেগে উড়তে সক্ষম। বিমানটি নিয়ন্ত্রিত হবে ইলেকট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমে। কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হওয়ায় এ বিমান ওজনে হালকা। ভূমি থেকে বিমানটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। বিমানটির যাত্রীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই সুবিধা।

আরএম/এএইচ/পিআর