জাতীয়

সাবধান, এই বাড়িতে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে

এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে গুলশানের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গুলশান ১ নম্বরের ১৩০ নম্বর সড়ক থেকে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে এ অভিযান শুরু করেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান।

এ সময় তিনি বাসা-ভবনগুলোতে গিয়ে পরিদর্শন করেন। মশকনিধন কর্মীদের দিয়ে মশার ওষুধ স্পে করান।

অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সেই বাসায় ‘সাবধান, এই বাড়িতে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে’ স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে।

Advertisement

ওয়ার্ডভিত্তিক এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংস্থাটির এই অভিযান চলছে।

অভিযানটি গত ২০ আগস্ট থেকে পাইলট প্রকল্প হিসবে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড গুলশান ও বনানী এলাকা থেকে শুরু হয়)। এ ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করে প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়।

প্রতিদিন ১টি ব্লকের ১০টি সাব-ব্লকের প্রতিটি বাসা-বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, খোলা জায়গা ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার ও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। এভাবে ১০ দিনে এ ওয়ার্ডটি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার এবং এডিস মশার লার্ভা নির্মূল করা হবে। ডিএনসিসির অন্যান্য ওয়ার্ডেও পর্যায়ক্রমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে অংশ নেয়া ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিটি বাসায় যাচ্ছি। আমাদের এ অভিযানে কোনো বাসা-ভবন বাদ যাবে না। প্রথম আমরা বাসায় বাসায় গিয়ে পরিদর্শন করছি, মশার ওষুধ স্প্রে করছি। যদি কোনো বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, তাহলে আমরা ওই বাসার মালিককে সতর্ক করছি। পাশাপাশি ‘সাবধান’ এ বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছি।

Advertisement

তিনি বলেন, সাতদিন পর আমরা আবার সেই বাসায় যাব। যদি দেখি তারা পরিচ্ছন্নতাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি তখন আমরা সেই বাসা-ভবন মালিককে সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী জরিমানা করব। প্রথম পর্যায়েই আমরা জরিমানা করছি না। সতর্ক হওয়ার সুযোগ দিচ্ছি, কিন্তু সাত দিন পর একই অবস্থা দেখা গেলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

এএস/জেডএ/জেআইএম