বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অপারেশন বিভাগ থেকে ককপিট ক্রু সর্টেজের অজুহাতে লাভজনক আবুধাবি রুটে বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনারের বদলে বোয়িং ৭৩৭ চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে বিমানের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগ আবুধাবি রুটে ড্রিমলাইনারের ২৭১ আসনের হিসাবে সব টিকিট বিক্রি করে দিয়েছে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
Advertisement
এমন অবস্থায় আবুধাবি রুটে বোয়িং ৭৩৭ পরিচালনা করলে ১১১ জন যাত্রী টিকিট কেটেও বিমানের যেতে পারবেন না। যাত্রীদের টাকা ফেরত দিতে হবে। এতে লোকসানের পাশাপাশি বিমানের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হবে। আর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকিট কাটা মোট ১৮৬৫ যাত্রীর টাকা ফেরত দিতে হবে বিমানকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট থেকে এ নিয়ে টানাপোড়েন চলে বিমানের অপারেশন এবং মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগের মধ্যে।
মার্কেটিং বিভাগ থেকে জটিল এ অবস্থা নিরসনে বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান ও বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার মার্শাল ইনামুল বারীর কাছ হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে তিনি বিমানের ভাবমূর্তি রক্ষায় ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেন।
Advertisement
দিনভর নানা আলোচনা-সমালেচনার পর বুধবার বিকেলে বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান সাবেক এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। বিমানের ভাবমূর্তি রক্ষা এবং লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে আবুধাবির রুটে আগের মতো ড্রিমলাইনার পরিচালনা করা হবে। এতে ড্রিমলাইনারের ককপিট ক্রুদের ওপর বাড়তি চাপ যাবে নিঃসন্দেহে। তবুও বিমানের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।’
আরএম/এনডিএস/পিআর