জাতীয়

সড়ক ছেড়েছে শ্রমিকরা

বিনা নোটিশে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে রাজধানীর শ্যামলীর সড়ক অবরোধের পর তা ছেড়ে দিয়েছেন আলিফ অ্যাপারেলসের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

Advertisement

বুধবার সকাল ১০টা থেকে তারা শ্যামলীর প্রধান সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এরপর পুলিশি বাধার মুখে বেলা সাড়ে ১১টায় তারা শ্যামলী স্কয়ারের দিকে এসে আবারও সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর ১২টায় পুলিশের মধ্যস্ততায় মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাদের একটি প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি জি বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

সড়কে বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমিকরা বলেন, শ্যামলী সিনেমা কমপ্লেক্সের পাশে ২৪/২ খিলজি রোডের ৪র্থ তলায় গার্মেন্টের অফিসে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের বৈঠক চলছে। আশানুরূপ সিদ্ধান্ত না এলে আবারও সড়কে নামবেন তারা।

Advertisement

সরেজমিনে শ্যামলী এলাকায় দেখা যায়, সড়ক অবরোধের কারণে শ্যামলী থেকে কলাবাগানগামী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কে থেমে থেমে যান চলাচল করছে। তবে বিপরীত পাশে যানবাহনের তেমন চাপ লক্ষ্য করা যায়নি।

শ্রমিকরা জানান, গত ১১ আগস্ট তারা ঈদের ছুটিতে যান। ঈদের ছুটি কাটিয়ে আজ গার্মেন্ট খোলার কথা ছিল। সকালে এসে তারা গার্মেন্টের গেটে তালা দেখতে পান। এ ছাড়া গেটে পুলিশ অবস্থান নেয়। আজ থেকে গার্মেন্ট বন্ধ এমন একটি নোটিশ গেটে টাঙিয়ে দেয়া হয়। এরপর তারা অবরোধে নামেন।

শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস জানান, শ্রম আইন অনুযায়ী বিনা নোটিশে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে ১২০ কর্মদিবসের বেতন, চলতি মাসের বেতন, ছুটি না কাটানোর পাওনা এবং যে যতদিন চাকরি করেছে, সেই হিসাবে সার্ভিস চার্জ দেয়ার বিধান রয়েছে। আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো আদায়ের দাবি জানাচ্ছি। তবে কয়েক দফা বৈঠকের পর এখনও কোনো সমাধান হয়নি।

এআর/জেডএ/এমকেএইচ/জেআইএম

Advertisement