মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁসের তথ্য শুনে আকাশ থেকে পড়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল হান্নান। দুপুর পৌনে ১২টায় এ প্রতিবেদক একজন ডাক্তারসহ চারজন প্রশ্নপত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার খবর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরে মেডিকেলের না, কয়েকদিন আগে পিএসসির কোন এক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রসহ তারা গ্রেফতার হয়েছিল। এ প্রতিবেদক ঘটনাটি আজকের উল্লেখ করলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আরে প্রশ্ন পাবে কোথায়? প্রশ্নপত্র তো সব সেফটি ট্র্যাঙ্কে তালা মারা। এখনও তো কাউকে প্রশ্নপত্র দেয়া হয়নি। খবরটি সত্যি কিনা এ ব্যাপারে আরও খোঁজ খবর নেয়ার পরামর্শ দেন। পরিচালক বিস্মিত হলেও ২৪ ঘণ্টা আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট শাখার একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে চিন্তিত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি জানান, মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্নপত্র তৈরির সঙ্গে বেশ কয়েকজন সৎ সিনিয়র অধ্যাপক জড়িত। তাদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস কিছুতেই হতে পারে না। ছাপাখানায় প্রশ্নপত্র ছাপাকালে কয়েকজন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। চিকিৎসা শিক্ষা শাখার এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা (যার বিরুদ্ধে মেডিকেল কলেজে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতির ঠিকাদারি, কলেজের অনুমতি, আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে) তাদের নিয়োগ দেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা বরাবরই দাবি করেন যে নিয়োগ দেয়ার পর ওই সকল কর্মচারীকে এক মুহূর্তের জন্য চোখের আড়াল করা হয় না। প্রথমেই সকলের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত টানা কয়েকদিন তাদের থাকাখাওয়াসহ সকল কার্যক্রম অধিদফতরের ভিতরে ব্যবস্থা করা হয়। তাদের মাধ্যমেই হয়তো প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। ইতিপূর্বে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. শিফায়েতউল্ল্যাহ অর্ন্তবাসে করে প্রশ্নপত্র পাচারকালে এক কর্মচারীকে হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন।# মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস : ডাক্তারসহ আটক ৪এমইউ/এআরএস/পিআর
Advertisement