আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু বুধবার সকালেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সীমান্ত। জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনীর গুলিতে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। দু'পক্ষের গোলাগুলিতে এক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন।
Advertisement
মঙ্গলবার রাতেই জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জওয়ানরা জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে। জওয়ানদের ওই এলাকায় প্রবেশের খবর পেয়েই গুলি চালায় জঙ্গিরা। দু'পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। তখনই সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় এক জঙ্গি।
সেনা ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় জওয়ানরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে। জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে স্পেশাল পুলিশ ফোর্সের এক সদস্যও নিহত হয়েছেন।
ভারতের দাবি, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। আর এ কাজে তাদের মদদ দিচ্ছে পাকিস্তান। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, কয়েকদিন আগে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে পাকিস্তানের কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছেন। ক্রমাগত সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে গুলি ছুড়েছে পাক সেনারা।
Advertisement
মঙ্গলবারও সকাল ১১টার দিকে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে ভারত। বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে পাক সেনারা। পরে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনারাও। কয়েকঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে এক ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে, কাশ্মীরে পাক সেনাবাহিনীর প্রতিরোধমূলক গুলি বর্ষণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তাসহ ছয় সেনা নিহত হয়েছে বলে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর। তারা বলছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করার কারণে তারা প্রতিরোধ করতে গেলে ভারতীয় সেনারা নিহত হয়েছে।
পাক সেনা বাহিনীর দাবি, এর আগে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে ৭ বছরের শিশুসহ তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই পাক সেনাবাহিনী ভারতীয় পোস্ট লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে এক কর্মকর্তাসহ ভারতীয় ৬ সেনা নিহত হয়।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement